Bankura News: বেসরকারি বাস ও পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, দুর্ঘটনায় আহত বহু
Bankura Road Accident: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে দীঘা থেকে একটি বেসরকারি বাস যাত্রীদের নিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: জাতীয় সড়কে বেসরকারি বাস ও পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার চাতালের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। প্রচণ্ড গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দুর্ঘটনা বলে জাবি স্থানীয়দের।
জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে দীঘা থেকে একটি বেসরকারি বাস যাত্রীদের নিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিক আপ ভ্যান সজোরে বাসটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি প্রচণ্ড গতিতে থাকা পিক আপ ভ্যানটির চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে যাওয়া বেসরকারি বাসে ধাক্কা মারে ওই পিক আপ ভ্যান।
গত মাসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতায়। বেহালায় মাটিবোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের। বাবার সঙ্গে রাস্তা পেরোনোর সময় বেপোরোয়া গতিতে আসা লরিটি পড়ুয়াকে ধাক্কা মেরেছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল বাবা সরোজকুমার সরকার। পরে সাঁতরাগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক গাড়ির চালক মনোজ মণ্ডলকে। আর এই শিশু পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। মৃতদেহ উদ্ধারে এলে পুলিশের গাড়ি ও একের পর এক বাইকে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা। একাধিক সরকারি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। মৃতদেহ আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ নামানো হয়েছিল। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা পুলিশের। স্থানীয় বাসিন্দার পাশাপাশি আক্রান্ত হল পুলিশও। কষুব্ধ জনতার অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরই ঘাতক লরিটিকে আটক করার চেষ্টা করলেও পুলিশ সেটিকে ছেড়ে দেয়। তাঁদের দাবি, পুলিশি উদাসীনতার কারণেই এই দুর্ঘটনা। পুলিশ তোলাবাজিতে ব্যস্ত, বলে অভিযোগ ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে বাসিন্দাদের। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বড়িশা হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। সেখান থেকে তাদের পুলিশ বের করার চেষ্টা করলে, নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ২ ঘণ্টার বেশি সময় পর শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করতে পেরেছিল পুলিশ। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে অবরুদ্ধ ডায়মন্ড হারবার রোড চালু হয় প্রায় ৩ ঘণ্টা পর।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: 'এবার ঠিক পথে তদন্ত হচ্ছে' CID তদন্তে সন্তোষপ্রকাশ হাইকোর্টের