Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ, দায়ের জনস্বার্থ মামলা
মামলাকারী আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। অভিযোগ নতুন আইনে সার্চ কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন রাজ্যের মনোনীত প্রতিনিধি।
![Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ, দায়ের জনস্বার্থ মামলা Public interest case filed challenging state's new law on appointment of vice-chancellor Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ, দায়ের জনস্বার্থ মামলা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/09/05/0da3f6a106b5ef7b719d5e1a82a3efb6166238628505152_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের । মামলাকারী আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। অভিযোগ নতুন আইনে সার্চ কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন রাজ্যের মনোনীত প্রতিনিধি। অন্য দুজন সদস্যের মধ্যে একজন আচার্য অন্যজন ইউজিসি-র প্রতিনিধি। সার্চ কমিটি থেকে বাদ দেওযা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিকেও। পরবির্তে জায়গা পাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রীর প্রতিনিধি।
ভিসি নিয়োগ নিয়ে এবার রাজ্যের অর্ডিন্যান্সকে চালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে আগামী ১২ জুন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের আবহে, আগেই জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এবার ভিসি নিয়োগের সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাকারীর অভিযোগ, নতুন অধ্যাদেশে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে ৫ জন সদস্যের মধ্যে ৩ জন রাজ্যের প্রতিনিধি। তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে এই কমিটিতে রাজ্যের তিন জন প্রতিনিধি থাকেন?
রাজ্য সরকারের আনা অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, এবার থেকে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে ৩ জনের জায়গায় ৫ জন প্রতিনিধি থাকবেন। আগে এই কমিটিতে ছিলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়, আচার্য তথা রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। নতুন কমিটিতে থাকবেন আচার্য, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সরকার, উচ্চশিক্ষা সংসদ এবং UGC-র চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি। অর্থাৎ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষা মহলের অনেকে বলছেন, উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির গঠনতন্ত্রে বদল এনে, আসলে সরকার যাঁকে চায় তাঁকেই উপাচার্য নিয়োগ করার রাস্তা তৈরি করল।
এই পরিস্থিতিতে গত ১ জুন রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একই সঙ্গে ৩ জন উপাচার্যর মেয়াদ বৃদ্ধি করেন আচার্য। রাজ্য়পালের এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সাংবাদিক: শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, এই নিয়োগ বেআইনি। তিনি এই প্রস্তাব প্রত্য়াখ্য়ান করতে বলছেন। সিভি আনন্দ বোস, রাজ্য়পাল: প্রশ্ন কোথায়? এটা তো স্টেটমেন্ট।
সাংবাদিক: বলা হচ্ছে যে আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সিভি আনন্দ বোস, রাজ্য়পাল: আলোচনা মানেই মান্যতা বা সম্মতি দেওয়া নয়।
গত সোমবার, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক অধ্যাপক। এবার মামলা হল রাজ্যের অর্ডিন্যান্সকে চালেঞ্জ করে। বুধবার মামলাটি গৃহীত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে আগামী ১২ জুন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)