Bengal Safari Park: বিদায় বর্ধমান, বেঙ্গল সাফারি পার্কে স্বমহিমায় চিতাশাবক 'কৃষ্ণা'
Cheetah Bengal Safari Park : ২ বছর আগে বর্ধমান জুওলজিকাল পার্কে জন্ম হয় 'কৃষ্ণার।'
কমল কৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: জন্মের প্রায় ২ বছর পর অবশেষে বর্ধমান জুওলজিকাল পার্ক থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির পথে চিতাশাবক কৃষ্ণা। বন দফতর সূত্রে খবর, আপাতত কৃষ্ণার ঠিকানা বেঙ্গল সাফারি পার্ক। বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ী রুটিন বদল হয়ে গিয়েছে।
করোনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউন পর্বের মধ্যেই ২ বছর আগে বর্ধমান জুওলজিকাল পার্কে বনদফতরের পর্যবেক্ষণের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে আনা ধ্রুব ও কালি নামে চিতাজোড়ার মিলনে জন্ম হয় কৃষ্ণার। তারপর থেকেই বিশেষ কঠোর নজরদারির মধ্যে আসতে আসতে বড়ো হয়ে উঠে কৃষ্ণা। অবশেষে প্রায় ২ বছর পর বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কৃষ্ণাকে পাঠানো হল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে।আপাতত কৃষ্ণা এখানেই থাকবে বলে বনদফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।
বিভাগীয় বন আধিকারিক (বর্ধমান) নিশা গোস্বামী জানান, এই বদল বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ীই করা হয়েছে। পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গ থেকেও একটি চিতা বর্ধমানে আসবে। বর্ধমান জুওলজিকাল পার্কের চিকিৎসক তপন কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, সবরকমের পরিবেশের সঙ্গে যাতে পশুরা খাপ খাইয়ে নিতে পারে তাই এই বদল নিয়মমাফিক হয়ে থাকে।
একদিকে যখন চিতার শাবককে স্বাগত জানাচ্ছে উত্তরবঙ্গের সাফারি পার্ক, তখন অন্য ছবি কুলতলিতে। গত কয়েকদিন ধরেই কুলতলির এই গ্রামে বাঘের আনাগোনা টের পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। লোকালয়ে মিলছিল পায়ের ছাপ। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল গ্রামবাসীদের। রবিবার রাতে খাঁচা পাতে বন দফতর। ফাঁদে রাখা হল হৃষ্টপুষ্ট এক ছাগলকে। সেই লোভে কি ধরা দিল দক্ষিণরায় ?
কুলতলির মৈপীঠের গৌড়ের চক গ্রামে দেখা দিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বন কর্মীদের দাবি, তাঁদের দিকে তেড়েও আসে দক্ষিণরায় ! তবে শেষ পর্যন্ত বন দফতরের পাতা ফাঁদে পা দেয়নি বাঘ মামা। আতঙ্ক ছড়িয়ে জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। শেষপর্যন্ত বাজি ফাটিয়ে, টিন বাজিয়ে, বাঘকে তাড়া করলে, মাকরি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে, আজমলমাড়ি জঙ্গলে ফিরে যান দক্ষিণ রায়।
আরও পড়ুন, নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে CBI
নদীপথে সাঁতরে আজমলমাড়ির জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে বাঘ। বন দফতরের ক্যামেরায় দরা পড়ে সেই ছবি। তার আগে বন কর্মীদের দিকে তেড়েও এসেছিল বাঘ। বাঁচতে গাছের উপর উঠে পড়েন বনকর্মীরা। গত কয়েকদিন ধরেই গ্রামে বাঘের আনাগোনা টের পাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। লোকালয়ে মিলছিল পায়ের ছাপ, খাঁচার ফাঁদে পা দেয়নি দক্ষিণ রায়।