রায়নায় ব্যবসায়ী খুনের তিন দিন পরেও অধরা আততায়ী, এবার নয়া ক্লু তদন্তকারীদের হাতে
ঘটনার সময়, গুলির শব্দ শুনেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন নিহত ব্যবসায়ীর বন্ধু রাজবীর সিংহ।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: রায়নায় নিহত ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে উচিতপুর থেকে উদ্ধার ব্যাগ। তা থেকে, আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ছুরি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এগুলির সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বর্ধমানের রায়নায় ব্যবসায়ী খুনের, তিন দিন পরেও অধরা আততায়ীরা! তারই মধ্যে, জামালপুর থেকে রায়না যাওয়ার রাস্তার পাশ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার রাতে বাড়ির একতলায় কুপিয়ে খুন করা হয় ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে।
ঘটনার সময়, গুলির শব্দ শুনেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন নিহত ব্যবসায়ীর বন্ধু রাজবীর সিংহ। এই প্রেক্ষাপটে, পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরের দিন, ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়ি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে উচিতপুরের সেচ খাল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও ছুরি পাওয়া যায়।
ব্যাগে পোশাকও ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পোশাকগুলি কার, তা জানতে ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। আদৌ এই আগ্নেয়াস্ত্র ও ছুরির সঙ্গে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উদ্ধার সামগ্রী ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আততায়ীদের সূত্র সন্ধানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে রাস্তার ধারের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও।
গতকাল কোচবিহারের দিনহাটায় একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। বিছানায় পড়ে রয়েছে পাঁচ বছরের ছেলে রক্তাক্ত মৃতদেহ। মেঝেতে পড়ে স্ত্রীর মৃতদেহ, পাশে রক্তমাখা ছুরি। ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মৃতদেহ।
রবিবার সকালে এমনই ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের টিয়াদহের গোর্খার পাড়ের বাসিন্দারা। উদ্ধার হল একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ। মৃতদের নাম মনোরঞ্জন সরকার (৫২), সান্ত্বনা বর্মন সরকার (২২) ও রনি সরকার (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। সাড়াশব্দ না-পেয়ে ধাক্কা দিয়ে একটি জানালা খোলেন তাঁরা। তখনই ভেতরে দেখা যায় ভয়ানক দৃশ্য।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় শ্রমিক মনোরঞ্জনের সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তি চলছিল। মোবাইল ফোনে সব সময় কথা বলা নিয়ে মাঝমধ্যেই চরমে উঠত অশান্তি।
মনোরঞ্জনের ভাই বলেন, বউদি সবসময় ফোনে কথা বলত। এই নিয়ে অশান্তি ছিল। আজ সকালে দেখি দরজা খুলছে না। তারপর জানা যায় এই ঘটনা। তিন দিন আগের বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। কাল বিকেলে চলে এসেছিল। তারপর এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্তে পর পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন মনোরঞ্জন সরকার।