(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Miyazaki Mango Garden: প্রতি কেজির দাম লাখেরও বেশি ! মিয়াজাকি আমের বাগান এবার পূর্ব বর্ধমানে
Burdwan Miyazaki Mango Garden: মিয়াজাকিকেই বিশ্বের সবথেকে দামী প্রজাতির আম হিসাবে ধরা হয়। যার প্রতি কেজি আম লাখ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়..
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: জেলা জুড়ে মিয়াজাকি আমের বাগান (Miyazaki Mango Garden) করবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। বাগানে থাকবে গোলাপি কাঠাল, রঙিন কলা ও ড্রাগন ফল।বিকল্প চাষের সন্ধানে ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পূর্ববর্ধমান জেলা পরিষদের উদ্যোগে নিজস্ব জমিতেই এবার ফলবে বিশ্বের সবথেকে দামী আম মিয়াজাকি(Miyazaki)।
মিয়াজাকি আমের চাষ জেলার কোথায় কোথায় শুরু করা হবে ?
চাষীদের বিকল্পচাষে উৎসাহ দিতে ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবার বিশ্বের সব থেকে দামী প্রজাতির মিয়াজাকি (miyazaki) আম চাষে উদ্যোগী হল পূর্ববর্ধমান জেলা পরিষদ।প্রাথমিকভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নিজস্ব ৫ টি জায়গায় এই মিয়াজাকি আম চাষ করা হবে।সেই অনুযায়ী মেমারী ডাকবাংলো, শ্রীখন্ড ডাকবাংলো, বাঁকুড়ামোড়, বর্ধমানের কৃষিখামার ও কালনায় থাকা জেলাপরিষদের নিজস্ব জায়গায় এই চাষ শুরু করা হবে।
মিয়াজাকিকেই বিশ্বের সবথেকে দামী প্রজাতির আম হিসাবে ধরা হয়
উল্লেখ্য, মিয়াজাকিকেই বিশ্বের সবথেকে দামী প্রজাতির আম হিসাবে ধরা হয়। যার প্রতি কেজি আম লাখ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়। ১৯৭০ এর দশকে জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে এই প্রজাতির আমের প্রথম চাষ হয় তাই এলাকার নাম অনুসারেই এই আমের নাম হয় মিয়াজাকি। এর অপর একটি নাম 'এগ অফ সানসাইন'।তবে মিয়াজাকি আমের বিজ্ঞানসম্মত নাম-'তাইয়ো-নো-টোমাগো'।দেশ সহ বিদেশে এই আমের পাহারায় বন্দুকহাতে নিরাপত্তা রক্ষী রাখতেও শোনা যায়।
'এই প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বাজেট স্থির করা হয়েছে'
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান,প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বাজেট স্থির করা হয়েছে।মূলত চাষীদের বিকল্প চাষে উৎসাহ যোগাতে,কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে জেলাপরিষদের নিজস্ব জায়গায় এই প্রকল্পগুলি গড়ে তোলার ফলে জেলাপরিষদের নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্পত্তি রক্ষাও সহজতর হবে।ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের বিষয়ে রাজ্য উদ্যানপালন দপ্তর সহ জাতীয়স্তরে একাধিক সংস্থার সাথে কথা বলা হয়েছে এবং তাদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে।প্রতিটি প্রকল্প এলাকাতেই সোলার পাম্প থাকবে একই সাথে প্রকল্প এলাকার সৌন্দার্যায়ন করা হবে ও সোলার লাইটও লাগানো হবে।প্রথমের দিকেই এই পাঁচটি প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৩০-৪০ জনকে কাজ দেওয়া সম্ভবপর হবে।
মিয়াজাকি কেন?
শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান,মিয়াজাকি আমকেই বিশ্বের সবথেকে দামী আম হিসাবে মনে করা হয়।রুপে ও রসনাগুনে এই আমের জুড়ি মেলা ভার।শুধু মিয়াজাকি নয় আরোও বিভিন্ন প্রজাতির আম,চার রঙের জামরুল,রঙিন কলা,গোলাপি কলা সহ একাধিক ফল চাষ করা হবে। দেশ-বিদেশে প্রতি কেজি হিসাবে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয় এই আম।আমাদের দেশের কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই এই আমের চাষ শুরু হয়েছে।সুফলও পাচ্ছেন চাষীরা তাই বিকল্প চাষে উৎসাহ যোগাতে ও একই সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে মিয়াজাকি আম চাষকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
মিয়াজাকির পাশাপাশি আরও কী কী ফলের ফলন ?
তবে শুধু মিয়াজাকি নয়, মিয়াজাকির পাশাপাশি অনান্য আম,গোলাপী কাঁঠাল,চার রঙের জামরুল, রঙিন কলা,তাল,বেল,আঁতা ও ড্রাগনফ্রুটও চাষ করা হবে।শস্যগোলা বর্ধমানের চাষীরা এই বিকল্পচাষেও মনোযোগ দেবেন এবং লাভবান হবে বলেই মনে করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার।