Mamata Banerjee: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নিয়ে বড়সড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, বললেন..
Mamata On Lakshmir Bhandar: সামনেই লোকসভা ভোট, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নিয়ে কী বললেন মমতা ?
বর্ধমান: লোকসভা ভোটের (Loksabha Election 2024) আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় বার্তা মমতার।এদিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '১৩ লক্ষ মহিলা নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা দুয়ারে সরকার করেছিলাম। আপনারা অনেকেই নাম লিখিয়েছিলেন। 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' পরিষেবায় আপনারা অনেকে লিখেছিলেন , আমরা সবকিছুতেই নজর রেখেছি। যারা দুয়ারে সরকারে আবেদন করেছিলেন, এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-তে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে, আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ টি প্রকল্পে আরও বিপুল সংখ্যক মানুষকে, আমরা যুক্ত করছি।১৩ লক্ষ মহিলা নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। বার্ধক্য ভাতা, সেন্ট্রাল টাকা দেয় না। দুয়ারে সরকার ও সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীতে নাম লিখিয়েছেন।৯ লক্ষ মানুষকে ১ ফেব্রু থেকে নতুন বার্ধক্য ভাতা। আরও ১ লক্ষ ৪ হাজার মহিলা বিধবা ভাতা পাবেন। আরও ৭ হাজার মানবিক ভাতা। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ১০ লক্ষ নতুন। ৮৫-৯৫ সেঞ্চুরি দেখতে চাই।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' অনেকে বলে আমরা নাকি কিছু করি না। আমাদের মতো সমাজ সংস্কার মানবিক উন্নয়ন সারা পৃথিবীতে কেউ করতে পারেনি। আমি গর্বিত। শুরু করেছিলাম কন্য়াশ্রী থেকে। তারা আমার গর্ব। ক্লাস ৯-এ উঠলেই সবুজ সাথী।শিক্ষাশ্রী, ঐক্য়শ্রী। রূপশ্রীতে বেনারসী দেব। ৬০ লক্ষ শিশু গাছ পেয়েছে। সে ১৮ বছর হলে গাছও স্বাবলম্বী হবে। তার ৪-৫ লক্ষ টাকা দাম হবে। মৃতদেহের সাদা খরচের টাকা থাকে না। তার জন্য়ও আমরা দিই। শ্মশমানঘাটের টাকা সমব্য়থী। প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ পেয়েছে। বাকিটা বললে রামায়ণ মহাভারত কোরাণ বাইবেল সব শেষ হয়ে যাবে। আমার প্রোগ্রাম ফুরোবে না।'
আরও পড়ুন, ১৯ দিনেও ধরতে পারেনি পুলিশ, শেখ শাহজাহানের বাড়িতে সমনের নোটিস ED-র
তিনি আরও বলেন,' দুয়ারে সরকার ও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে যারা আবেদন করেছিলেন তাদের আমরা করে দিলাম।কন্যাশ্রী ৩টি করেছি। জয় জোহার, শ্রীক্ষাশ্রী আছে, তপশিলিরা ২০ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারে পড়ার জন্য। রাজের পড়ুয়ারা ১০ লক্ষা টাকা করে ঋণ পেতে পারে।রূপশ্রী করেছি। এক সময় বাবা-মায়েরা ভাবতেন মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিই। খাওয়াব কী করে, পড়াব কী করে। অনেক প্রকল্প করে দিয়েছি। ডব্লুবিসিএস কেন্দ্র প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।'