Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও পরিষেবা মিলল না, রোগীর মৃত্যুতে ফের বিতর্ক
Swasthya Sathi Card: চলতি বছরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, কেউ যদি চিকিৎসা দিতে রাজি না হয় সরকারের হাতে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা আছে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বারবার হুঁশিয়ারির পরেও স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi ) প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ। দুর্গাপুরে (Durgapur) দুর্ঘটনাগ্রস্তের মৃত্যুর ঘটনায় কাঠগড়ায় দুই বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospitals)। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় রোগীকে ফেরানোর অভিযোগ মৃতের পরিবারের। মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা
চলতি বছরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, কেউ যদি চিকিৎসা দিতে রাজি না হয় সরকারের হাতে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা আছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড রয়েছে! অথচ কোনও বেসরকারি হাসপাতাল তা নিতে অস্বীকার করলে, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি বারবার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু তারপরও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের দুই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শনিবার ৫ হাসপাতালে ঘোরার পরও বাঁচানো যায়নি, দুর্ঘটনায় আহত দুর্গাপুরের বাসিন্দা নির্মল মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন, গচ্ছিত টাকা তুলতে নাজেহাল, সমস্যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলের পরিবার
কী অভিযোগ?
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, যে ৫ হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে গিয়েও পরিষেবা মেলেনি, তার মধ্যে দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল। সেই কাঁকসার গৌরীদেবী ও সনকা হাসপাতাল বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় রোগী প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। মৃতের প্রতিবেশী শান্তশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রাইভেট হাসপাতাল প্রথমেই জিজ্ঞেস করছে স্বাস্থ্যসাথী আছে। শুনে বলছে বেড নেই। ক্যাশ হলে ব্যবস্থা হবে। কেন এমন হবে।"
বেসরকারি হাসপাতালে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, ভেন্টিলেশনে বেড খালি না থাকায় রোগীকে ভর্তি নেওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগীকে ‘প্রত্যাখান’। সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ব্লক তৃণমূল সভাপতির। রাজনৈতিক এই তরজার মধ্যেই মৃতের পরিবারের আক্ষেপ, ৫টা হাসপাতালের মধ্যে একটিতেও পর্যাপ্ত পরিষেবা পেলে হয়ত বাঁচানো যেত পরিজনকে।