Egra Incident: ‘কখনও সখনও দেখা মিলত, টাকা নিয়ে চলে যেত’, এগরার ঘটনায় প্রশ্ন পুলিশের ভূমিকায়
Purba Medinipur News: মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর মুখ খোলেন গ্রামের অনেকেই।
ঋত্বিক প্রধান, শিবাশিস মৌলিক ও বিজেন্দ্র সিংহ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের রক্তাক্ত রাজ্য। এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে ন'জনের। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, যিনি বাজির কারখানা চালাচ্ছিলেন, তাঁকে গত বছরের অক্টোবর মাসেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। দু'-তিন সপ্তাহ আগে সেখানে তল্লাশি চালানো হয় বলে দাবি পুলিশেরও। তার পরও প্রকাশ্যে অবৈধ বাজির কারখানা চলছিল কী ভাবে, উঠছে প্রশ্ন। একদিকে, আইসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে আবার পুলিশ সব জানত বলে দাবি স্থানীয়দের (Egra Incident)।
এগরার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর মুখ খোলেন গ্রামের অনেকেই (Purba Medinipur News)। স্থানীয় এক বাসিন্দা এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও, মাসে আসত, কমপ্লেন দিলে আসত, ভিতরে টাকা নিয়ে চলে যেত। কিচ্ছু করত না। মিনিমাম ২৫-৩০জন মারা গেছে। আজকে যারা বোম নিতে এসেছিল, খবর আছে ৬-৭জন, তারাও এখানে ডেড হয়েছে।"
এ দিন বিস্ফোরণের পর রাস্তায় পোড়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহ ভাসছিল জলে, আবার ঝোপে-ঝাড়েও পড়েছিল পোড়া দেহাংশ। আহত হন যাঁরা, তাঁদের গোঙানি শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এগরার খাদিকুল গ্রামটি কার্যত শ্মশামভূমিতে পরিণত হয়েছিল বলে মত স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: Egra Incident:কোন দলের সঙ্গে যুক্ত এগরা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগ? তুঙ্গে তরজা
এসবের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। কারণ যে খানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে স্থানীয় নেগুয়া পুলিশ ফাঁড়ির দূরত্ব ১০ কিলোমিচার। এগরা থানা রয়েছে ২০ কিলোমিটার দূরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ সবই জানত। তার পরও দেরি করে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এক ঘণ্টা আগে থেকে পুলিশকে ফোন করছি, এখন এল। ওরা মান্থলি নিয়ে কারবার করেছে বলে, ধরতে আসছে না।"
গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে
শুধু পুলিশই নয়, স্থানীয় প্রশাসনও সব জানত বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। তাই এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করা হয় আইসি-কে। পুলিশকে মারধর করা হয়, ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা। ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা।