Mahishadal : ঠিকাদারের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ, পরে থানায় আত্মসমর্পণ শ্রমিকের !
Mahishadal : উত্তেজিত জনতা মহিষাদল থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন
বিটন চক্রবর্তী, মহিষাদল : টাকা বকেয়া দীর্ঘদিন। শোধ করছিলেন না ঠিকাদার। সেই রাগে ঠিকাদারের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে থানায় আত্মসমর্পণ করল এক ব্যক্তি। সাতসকালে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলে (Mahishadal)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ঠিকাদারকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটা কী ?
মহিষাদল থানার রামবাগের বাসিন্দা মন্টু খাঁ। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারের কাজ করেন। সেই সূত্রেই নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি কাজ হাতে নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শ্রমিকের কাজ করেছিলেন স্থানীয় কাপাসএড়্যার বাসিন্দা রামলাল ঘড়াই। কিন্তু, কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও ওই ঠিকাদার শ্রমিকের বকেয়া মেটাতে গড়িমসি করছিলেন বলে অভিযোগ।
বুধবার সকালে ঠিকাদার মন্টু খাঁ রামবাগের দিকে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় রাস্তার পাশে আগে থেকেই ঘাপটি মেরে বসে থাকা রামলাল প্রথমে ঠিকাদারের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে অভিযুক্ত রামলাল সটান মহিষাদল থানায় ঢুকে পড়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন ; ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ, ঘুমন্ত স্ত্রীকে খুন স্বামীর
ইতিমধ্যে স্থানীয়রা গুরুতর জখম মন্টুকে উদ্ধার করে প্রথমে মহিষাদল ব্লক হাসপাতাল ও পরে তাঁকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। উত্তেজিত জনতা মহিষাদল থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে মঙ্গলকোটের (Mongolkot) সাগিরা গ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে খুন (Murder) করে স্বামী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতার বয়স বছর আঠাশ। বছর দশেক আগে পেশায় মোটর গ্যারাজের কর্মী তাপস দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলকোটের সাগিরা গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সাংসারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের তিন বছরের পর থেকেই অভিযুক্ত তাপস দাসের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। নিহত স্ত্রীর কাকা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারণে অকারণে প্রায়ই অশান্তি হত। শুক্রবার রাতে তাঁরা জানতে পারেন যে জামাই ভাইঝির গলা কেটে খুন করেছে। তাঁরা মঙ্গলকোট থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।