TMC Rift : ‘নাম’হীনতায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে ধুন্ধুমার, মঞ্চ থেকে নেমে বিক্ষোভ সামলালেন কুণাল-সোহম
Purba Medinipur : গোটা ঘটনা নিয়ে সোহম চক্রবর্তীও জানান, কোনও মনোমালিন্য হয়নি। ক্ষোভ-বিক্ষোভ পর্ব মিটে যাওয়ার পর, শেষমেষ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে তৃণমূলের (TMC) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে ধুন্ধুমার। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ, মুহুর্মুহু স্লোগানে, তাল কাটল মূল অনুষ্ঠানের। শেষমেষ ময়দানে নেমে, দলের কর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সোহম চক্রবর্তীরা (Soham Chakraborty)।
কিন্তু কী নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত?
বৃহস্পতিবার, ভগবানপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন, কারামন্ত্রী ও রামনগরের বিধায়ক, অখিল গিরি। এগরার বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তরুণকুমার মাইতি। চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
মঞ্চে তখন অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে, আচমকাই মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বিজয়া সম্মিলনীর প্রেস ব্যানারে, আমন্ত্রিত সকলের নাম থাকলেও, নেই, তরুণকুমার মাইতির নাম। এমনকী কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের নামও রয়েছে। অথচ নাম নেই এগরার বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতির।
এই ঘটনায় অভিজিত্ দাসের পদত্যাগ দাবি করে, সভামঞ্চে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলকর্মীদের একাংশ। এরপরই মঞ্চ থেকে নেমে আসে, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন, কুণাল ঘোষ ও সোহম চক্রবর্তী। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন তাঁরা।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'এটা একটা বিজয়া সম্মতি। এতে গণ্ডোগোল পাকাবেন না। দলের মধ্যে বসে আলোচনা হবে।' গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র বলেছেন, 'বিজয়া সম্মিলনী সম্মান দেওয়ার জায়গা। যেরকম দল তেমন সম্মিলনী। সাধারণ মানুষ ওদের চরিত্র জানে।'
কিন্তু যাঁর নাম ঘিরে এই ক্ষোভ? তিনি কী বলছেন? তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও এগরার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি বলেছেন, 'আমাকে কোনওরকম অসম্মান করা হয়নি। ব্লক সভাপতি নিজে ফোন করে আমন্ত্রণ করেন। আমন্ত্রণ পত্রেও নাম রয়েছে। কে বা কারা এটা করল জানি না। কুণাল দাকে পুরোটা বলেছি।' গোটা ঘটনা নিয়ে সোহম চক্রবর্তীও জানান, কোনও মনোমালিন্য হয়নি। ক্ষোভ-বিক্ষোভ পর্ব মিটে যাওয়ার পর, শেষমেষ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন- মালদার তৃণমূল নেতার আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল, 'খেলনা বন্দুক' দাবি