বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় সমুদ্র-স্নানে গিয়ে মৃত্যু পর্যটকের, ওড়িশা উপকূলে উদ্ধার দেহ
আজ সকালে ওড়িশার উদয়পুর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় নদিয়ার যুবকের দেহ।
পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘায় সমুদ্র-স্নানে গিয়ে মৃত্যু হল এক পর্যটকের। ওড়িশা উপকূলে উদ্ধার হল দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় আসেন নদিয়ার বাসিন্দা প্রীতম সাধুখাঁ। বিকেল ৫টা নাগাদ নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে সকলে স্নান করতে নামেন। প্রীতম তলিয়ে যান। রাত পর্যন্ত সন্ধান না মেলায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই যুবকের বন্ধুরা। আজ সকালে ওড়িশার উদয়পুর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় নদিয়ার যুবকের দেহ।
গত ১৯ অগাস্ট মা-বাবার সঙ্গে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিল ছোট্ট সমৃদ্ধ। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, সেখানে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে যাবে ছোট্ট চনমনে ছেলেটা। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঝর্নার জলে তলিয়ে মৃত্যু হল ৮ বছরের শিশুর।
মঙ্গলবার মা-বাবা পরিজনদের সঙ্গে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা, সমৃদ্ধ দাস। বেসরকারি হোটেলে ছিল পরিবার। বৃহস্পতিবার গাড়িতে করে ঘুরতে যায় জঙ্গলের রাস্তায়। দুপুর নাগাদ পৌঁছয় বেলপাহাড়ির ঘাগড়া জলপ্রপাতের কাছে।
পরিবার সূত্রে খবর, আচমকা পা ফস্কে জলপ্রপাতের জলে পড়ে যায় সমৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দেয় তার বাবা। কিন্তু, জলের তোড় এতটাই বেশি ছিল যে, ছোট্ট সমৃদ্ধকে উদ্ধার করা যায়নি। কিছুটা দূরে পাথরে আটকে যায় ৮ বছরের শিশুর শরীর। প্রায় ১ ঘণ্টা পর সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ ওই শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝারগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেড়াতে এসে এমন ঘটনা ঘটবে তাঁরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বাবা ও মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
গত ১৭ অগাস্ট দুটি পৃথক পৃথক ঘটনায় নদীতে তলিয়ে যান দুই ব্যক্তি। তাদের উদ্ধার করা যায়নি। বির্পযয় মোকাবিলা দল তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
এদিন ভোরে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুরের চিতলঘাটা এলাকায় মহানন্দা নদীতে তলিয়ে যান মেহেবুব আলম নামে এক শ্রমিক। নদী থেকে পাথর তুলে ট্রাকে বোঝাই করতে গিয়ে পা পিছলে নদীর জলে তলিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই তাঁর খোঁজে স্থানীয় মানুষ নদীতে তল্লাশি চালান। কিন্তু তাঁর কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার পুলিশ। নিখোঁজ ব্যাক্তির খোঁজে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের নামানো হয়। কিন্তু এদিন সন্ধে পর্যন্ত পাওয়া খবরে, তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অন্য ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ কুলিক নদীতে। রায়গঞ্জ কুলিক ব্রীজ থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তি ঝাঁপ দিয়ে জলে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানায় পুলিশ। স্থানীয় মানুষের ধারনা, আত্মহত্যা করতেই ওই ব্যক্তি সেতুর উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। এখনও তার কোন সন্ধান মেলেনি।