বিষাক্ত মূল খেয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়র, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে দেড় বছরের শিশু-সহ পরিবারের আরও চারজন
পরিবারের এই দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য পুরুলিয়ার নির্ভয়পুরে। অসুস্থদের ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
সন্দীপ সমাদ্দার ও পূর্ণেন্দু সিংহ, পুরুলিয়া: জঙ্গল থেকে খুঁড়ে আনা এক ধরনের কন্দ রান্না করে খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেড় বছরের শিশু-সহ আরও চারজন। পরিবারের এই দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য পুরুলিয়ার নির্ভয়পুরে। অসুস্থদের ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঠিক কী কারণে মৃত্যু জানতে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
বিষাক্ত কন্দ রান্না করে খেয়েই কি মৃত্যু হল আদিবাসী প্রৌঢ়ের? অসুস্থ হয়ে পরিবারের আরও চারজনকে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে? এই প্রশ্ন ঘিরেই চাঞ্চল্য পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের নির্ভয়পুর গ্রামে। মৃতের নাম জলধর শবর। ঠিক কী করে মৃত্যু হল জলধরের? স্থানীয় সূত্রে দাবি, জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে আলুর মতো এক জাতীয় কন্দ সংগ্রহ করেন শবর সম্প্রদায়ের মানুষ।
সেই কন্দ সেদ্ধ করে ভাতের সঙ্গে তরকারি হিসাবে খান।
জলধরও জঙ্গল থেকে তা সংগ্রহ করে এনেছিলেন। পরিবার সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার সেই কন্দ রান্না হয়। খাওয়ার পরই জলধর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেড় বছরের শিশু সহ পরিবারের বাকি চার সদস্যের বমি শুরু হয়। পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় জলধর শবরের।
এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, আমরা প্রায়ই এই ধরনের শিকড় এনে খাই। তেমনই খেয়েছে। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ও মারা যায়। পরিবারের চার সদস্যকে পুঞ্চা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রেফার করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সক নবকুমার বিশ্বাসের কথায়, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর একজন মারা যায়। সঠিক কারণ বুঝতে পারছি না। গ্রামের বাড়ি বাড়ি মেডিক্যাল টিম জিজ্ঞাসা করছে, আর কেউ খেয়েছে কি না। মেডিক্যাল টিম গ্রামে থাকছে। পুঞ্চা থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। ঘটনা ঘটার পর গ্রামে পৌঁছেছে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মেডিক্যাল টিমও।
আরও পড়ুন: No Mask Wearing: নিয়মভঙ্গে কড়া পদক্ষেপ, মাস্ক না পরায় সোনারপুর-রাজপুর পুরসভায় গ্রেফতার ৮৪
আরও পড়ুন: West Burdwan: কালীপুজোর আগে চাঁদা নিয়ে জুলুম, দুর্গাপুর থেকে আটক ২