Purulia: কয়েকদিনের ব্যবধানে পুরুলিয়ার বরাবাজারে ফের মাওবাদীদের নামে পোস্টার, চাঞ্চল্য
বিজেপির কেউ তৃণমূলকে সমর্থন করলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি...
সন্দীপ সমাদ্দার, বরাবাজার: পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকে ফের মাওবাদীদের নামে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে ধেলাতবামু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাওবাদীদের নামে লেখা পোস্টার উদ্ধার হয়। কে বা কারা ওই পোস্টার দিয়েছে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিজেপির কেউ তৃণমূলকে সমর্থন করলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি। পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকের ধেলাতবামু গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার বিজেপির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পরই মাওবাদীদের নামে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় এক দোকানদের দাবি, শুক্রবার সকালে প্রথমে তাঁর চোখে পড়ে এই পোস্টার। পরে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি সরিয়ে নিয়ে যায়।
বরাবাজারের এক বাসিন্দা বলেন, সকালে ঘুম থেকে খবর পেয়ে দোকানে গিয়ে শুনি আমার দোকানে পোস্টার পড়েছিল স্থানীয় সিভিক ও পুলিশ এসে পোস্টারগুলি তুলে নিয়ে যায়।
মাওবাদীদের নামে দেওয়া এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর। পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পুরো নাটক, এখন তৃণমূল মাওবাদী মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
জবাব দিয়েছেন পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র নব্যেন্দু মাহালি। তিনি বলেন, পোস্টার গুলি সম্পূর্ণ বিজেপি পরিকল্পত চক্রান্ত। বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে পারে তার আগে ভয় দেখাচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরেই বরাবাজার ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়ছে। পোস্টারগুলি কে বা কারা দিচ্ছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার, তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাওবাদীদের নামে লেখা পোস্টার উদ্ধার হয়। সেই পোস্টারের শাসক দলের নেতাদের হুমকি দেওয়া ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, কে বা কারা ওই পোস্টার লাগিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষবার মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়েছিল পুরুলিয়ায়।
তার ২ দিন আগে, স্বাধীনতা দিবসের দিন, বাঁকুড়ার বারিকুলের জাতাডুমুর গ্রামে পোস্টার ঘিরে ছড়ায় আতঙ্ক। সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ করা হয়েছিল পোস্টারে।
পাশাপাশি লেখা হয়, 'মাওসে তুং চিন্তাধারা যুগ যুগ জিও'। লাল কালিতে লেখা পোস্টারগুলি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পরে পুলিশ এসে সেগুলি ছিঁড়ে দেয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘটনার সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ নেই। কারা এগুলি লাগাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।