Purulia News: সন্তানের জন্ম দিয়ে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ মা, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সন্তানসম্ভবা বেবিকুমারি বাউরিকে। পরদিন সন্তানের জন্মও দেন তাঁর স্ত্রী।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: এক সপ্তাহও কাটেনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শৌচালয়ে যেতে গিয়ে হাসপাতাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন সদ্যোজাতর মা। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা। এরপর বেশকিছুক্ষণের চেষ্টায় হাসপাতালের কয়েক কিমি দূর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। নিরাপত্তারক্ষী, চিকিৎসক, নার্স থাকা সত্বেও কীভাবে একজন রোগী ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী হয়েছিল? ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সন্তানসম্ভবা বেবিকুমারি বাউরিকে। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্মও দেন তাঁর স্ত্রী।
তবে আজ, বুধবার শৌচালয়ে যাচ্ছেন বলে বেড ছেড়ে নামেন ওই মহিলা। এর পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান। এর পর ঘটনা জানাজানি হলে শুরু হয় খোঁজ। নিখোঁজ বেবিকুমারি বাউরির খোঁজ চলে দীর্ঘক্ষণ। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
বিষয়টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। ঘটনার প্রায় 8 ঘণ্টা পর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হাজারী বাউরি প্রচেষ্টায় মহিলাকে হাসপাতাল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ প্রসঙ্গে, হাজারি বাউরি জানান, মহিলার আত্মীয়রা তাঁকে ঘটনার বিষয়ে জানান। এর পর তিনি দলীয় কর্মীদের মারফত খোঁজখবর শুরু করেন, মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তিনি।
হাসপাতালে ফিরে সদ্যোজাতকের মা বেবিকুমারি বাউরি জানান শৌচালয়ের জন্য তিনি ৪ তলা থেকে নিচে নেমে এসেছিলেন। তারপর কোথায় কীভাবে চলে গিয়েছেন তা মনে নেই।
হাসপাতালে কার্যকরী ওয়ার্ড মাস্টার ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। নিরাপত্তার অভাবের কথাও স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কীভাবে একজন রোগী সবার চোখ এড়িয়ে ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।