Ram Mandir: বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন, তৈরি হচ্ছে অতিথি নিবাস, শুভেন্দুর হাতে শিলান্যাস হবে রামমন্দিরের
East Midnapore: একদিকে দিঘায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় জগন্নাথ মন্দির। আর নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় হবে রামমন্দির।

বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার আগেই, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় শিলান্যাস হচ্ছে রামমন্দিরের (Ram Mandir)। রামনবমীর দিন ধুমধাম করে এর শিলান্যাস করবেন শুভেন্দু অধিকারী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে।
সোনাচূড়ায় শিলান্যাস হচ্ছে রামমন্দিরের: একদিকে দিঘায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় জগন্নাথ মন্দির। আর নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় হবে রামমন্দির। পূর্ব মেদিনীপুরের এই ২ মন্দির নিয়েই এখন ঊর্ধ্বমুখী রাজ্য রাজনীতির পারদ। ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। আর তার আগে এই পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতেই শিলান্যাস হয়ে যাচ্ছে রামমন্দিরের। ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে হবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে হবে রামমন্দিরের নির্মাণ। এর জন্য জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতিও।
২২শে জানুয়ারি অযোধ্য়ার রামমন্দিরের বর্ষপূর্তির দিনেই সোনাচূড়ায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের দিন ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর। সোনাচূড়ায় রামমন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ একাধিক সংগঠনকে। ৬ এপ্রিল সকাল ১০ টায়, ভাঙাবেড়া ব্রিজ থেকে শোভাযাত্রা করে সোনাচূড়ায় পৌঁছবেন শুভেন্দু অধিকারী। শিলান্যাস উপলক্ষে ওইদিন সোনাচূড়ায় আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠের। তবে শুধু রামমন্দিরই নয়, মন্দির সংলগ্ন জায়গায় তৈরি করা হবে অতিথিনিবাসও। শুভেন্দু অধিকারী জানান, "সমস্ত সনাতনী সংগঠন, দুর্গাপুজা কমিটি, মন্দির কমিটি, পুরোহিত সমাজ, সমস্ত বাজার কমিটি, সবাই মিলে ওখানে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্ল্যান, সাইট প্ল্যান যেগুলো অনুমোদন সেগুলো সব করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রামমন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করার। যেহেতু দক্ষিণ প্রান্ত, অনেকে গিয়ে ফিরতে পারবেন না। সেইজন্য অতিথি নিবাস হচ্ছে। আর ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে আয়ুষ, হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক একটা ডে কেয়ার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গোশালা রাখা হবে।''
এদিকে এনিয়ে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবাংলার রাজ্যটিকে যেখানে নিয়ে গেছেন তাতে বিজেপির পক্ষে সুবিধা হয় তার ব্যবস্থা করেছেন। সরকারের টাকায় জগন্নাথ মন্দির দিঘায়। ধর্মকে ব্যবহার করে ভোট পেতে চান। অসভ্যতা। যেহেতু উনি তাই করেন, বিজেপি একই রকম। আর বিজেপির তো ওটা লাইন। রামমন্দির, রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী। এই তো কাজ ওদের।''






















