Bogtui Case: ভাদু খুনে আর্থিক লেনদেন! খতিয়ে দেখছে সিবিআই, ফের তলব মিহিলাল-কিরণকে
CBI Bogtui Investigation: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারা মিহিলাল শেখ-সহ ৮ জনের ডিএনএ নমুনা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে CFSL-এ পাঠানো হয়েছে।
নান্টু পাল, বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে (Bogtui Case) ফের মিহিলাল শেখ এবং তাঁর ভাইপো কিরণ শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের (CBI)। রবিবার নয়ন শেখ নামে এক গ্রামবাসীকেও ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নয়ন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদার। এই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই উপ প্রধান ছিলেন ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh Murder)। নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভাদু খুনের ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয় রয়েছে কিনা, জানতে চাইছে সিবিআই। গোয়েন্দা দফতর সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
ভাদু খুন এবং অগ্নি সংযোগ, দুইয়ের তদন্তেি সিবিআই
বগটুই কাণ্ডে সম্প্রতি যে ১০ জন চাকরি দেওয়া হয়, কিরণ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। রামপুরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে চাকরি হয়েছে তাঁর। রামপুরহাটের মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিকের দফতরে চাকরি পেয়েছেন মিহিলাল। চাকরি দিয়ে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতে রক্ষা করেছে বলে মানলেও, সিবিআই-এর উপরই আস্থা রাখছেন তিনি।
রামপুরহাট (Rampurhat Fire) হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারা মিহিলাল শেখ-সহ ৮ জনের ডিএনএ নমুনা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে CFSL-এ পাঠানো হয়েছে। ওই নমুনা মৃতদের ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। স্বজনহারা পরিবারগুলির অভিযোগ, তাঁদের দিয়ে দেহ শনাক্ত না করেই শেষকৃত্য সেরে ফেলা হয়। তার প্রেক্ষিতেই স্বজনহারাদের ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: আজ ফের CBI-এর তলব অনুব্রতকে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে দুপুরে হাজিরার নির্দেশ
ভাদু হত্যা এবং অগ্নিসংযোগ, দুই ঘটনার তদন্তভারই সিবিআই-এর হাতে উঠেছে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানাতে পেরেছেন, ঘটনার দিন শুধু বগটুইয়ের পূর্বপাড়ায় ভাদু শেখের পাড়া থেকে নয়, অন্য জায়গা থেকেও দুষ্কৃতীরা এসেছিল। অগ্নি সংযোগের রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে কখন ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা? তার পর কখন সেখানে পৌঁছেছিল পুলিশ? তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নানা বিস্ফোরক দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে সেই রাতের ঘটনাক্রম ধরা পড়েছে।
ঘটনার দিন দুষ্কৃতীরা কখন ঢুকেছিল গ্রামে, পুলিশ পৌঁছেছিল কখন, যাচাই করছেন গোয়েন্দারা
ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই দিন রাত ৮টা বেজে ৩৬ মিনিটে গ্রামে একের পর এক বাইক ঢুকতে এবং বেরোতে শুরু করে। রাত আটটা সাতচল্লিশ নাগাদ দেখা যায়, গ্রাম থেকে আরও অনেকে বাইরের দিকে, সম্ভবত ভাদু যেখানে খুন হন, সেদিকেই এগোয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এরপরই আচমকা একটা তৎপরতা তৈরি হতে। রাত ৮টা ৪৯ মিনিট নাগাদ দেখা যায়, অনেকে ছুটতে ছুটতে গ্রামের ভিতরে যাচ্ছেন। এর পরই গ্রামে ঢুকতে শুরু করে পরপর বাইক। তাতে এক দোকানদার তড়িঘড়ি দোকান বন্ধ করে দেন।