Jyotipriyo Mullick : রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুরের সঙ্গে যোগ ! ছবি-অভিযোগে কী বলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় ?
ED Raid : প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে কিছুদিন আগে রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। চলেছিল ম্যারাথন তল্লাশি। এবার হানা দেওয়া হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে।
কলকাতা : সাত-সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। সকাল ৬ টা ১০-এ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যান ED-র অফিসাররা। সল্টলেকের BC ব্লকে ২৪৪ ও ২৪৫, পাশাপাশি দুটি বাড়ি রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mullick)। দুটি বাড়িই ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ED সূত্রে খবর, মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এর মাঝে একবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে ফের ভেতরে চলে যান রাজ্যের বনমন্ত্রী। কিন্তু রেশন বণ্টন দুর্নীতি ঘিরে তদন্ত নিয়ে রাজ্যে চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক পারদ।
ইডির হাতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন বাকিবুর রহমান। ধাপে ধাপে উদ্ধার হয়েছে তাঁর চোখ কপালে তোলার মতো সম্পত্তি। আর এর মাঝেই বাকিবুকের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান খাদ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছবি দেখিয়ে শানিয়েছিলেন অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে কিছুদিন আগে রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। চলেছিল ম্যারাথন তল্লাশি। এবার হানা দেওয়া হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে।
ইডির (ED) লম্বা জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য না করলেও শুভেন্দু অধিকারী ছবি-অভিযোগ সামনে আসার পরই অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্যের মন্ত্রী বলেছিলেন, ''ঘৃণ্য রাজনীতি হচ্ছে, পরিবারকে টেনে আনা হচ্ছে। যাঁরা এটা করছেন মনে রাখবেন রাজত্ব হল গাড়ির চাকা। চাকা কিন্তু ঘোরে, পরিবর্তনের পর তাঁদেরও এমন অবস্থা হতে পারে', কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলেই কেউ কালিমালিপ্ত হয় না'।
উল্লেখ্য, করোনাকালে রাজ্যের বহু জায়গায় রেশন বণ্টনে দুর্নীতির (Ration Distribution Scam) অভিযোগ ওঠে। তাতে বিপুল টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠায়, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ECIR দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলায় গত ১১ অক্টোবর কাকভোর থেকে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মোট ১২টি জায়গায় হানা দেয় ED। যার মধ্যে ছিল বাকিবুরের একাধিক সম্পত্তি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। যারপর ক্রমশ সামনে উঠে আসে আরও সম্পত্তির হদিশ। জড়িয়ে যায় প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও।
আরও পড়ুন- '৪২ বছর আগের তথ্য চাইছে, তখন তো অভিষেক জন্মাইনি' মমতা