Recruitment Scam: অবশেষে ক্লাসরুমে শিলিগুড়ির অনামিকা! আজ স্কুলে যোগদান
Job Scam: আজ জলপাইগুড়ির স্কুলে শিক্ষিকা পদে যোগ দিলেন অনামিকা।
জলপাইগুড়ি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, নিয়োগপত্র নিয়ে অবশেষে শিক্ষিকা পদে যোগ দিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। নাটকীয় পট পরিবর্তনের পর অবশেষে হাসি ফুটল অনামিকার মুখে। প্রথমে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ-কন্যা অঙ্কিতার চাকরি পান ববিতা সরকার। নম্বরে তথ্যে কারচুপির অভিযোগে চাকরি হারান ববিতাও। মেধাতালিকায় পরবর্তী দাবিদার হিসেবে অনামিকাকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ৪ মাস কেটে গেলেও নিয়োগপত্র না পাওয়ায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারপরই তড়িঘড়ি অনামিকাকে নিয়োগপত্র দেয় পর্ষদ। এরপর আজ জলপাইগুড়ির স্কুলে শিক্ষিকা পদে যোগ দিলেন অনামিকা।
এদিন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) আমবাড়ি হরিহর হাইস্কুলে স্কুলে যোগ দিলেন অনামিকা রায়। পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষক পদে যোগ দিলেন তিনি। তাঁকে ক্লাসরুমে নিয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে পরিচয় করান স্কুলের প্রধানশিক্ষক। এদিনই যোগদানের যাবতীয় নথিপত্র সংক্রান্ত কাজ হয়েছে। কেমন ছিল লড়াইটা? অনামিকা রায় বলেন, 'লড়াইটা কঠিন ছিল। সহজ ছিল না। আমার ছোট যমজ বাচ্চা আছে। যখন আদালতে যাই তখন ওরা আরও ছোট। ওদের বাড়ি রেখে হাইকোর্টে গিয়েছি। আমার চাকরিটা এতদিন অন্য কেউ করছিলেন। আমার মনে হচ্ছিল কবে চাকরিটা পাব। মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবসময় ন্যায়ের পক্ষেই ছিলেন। আমিও আশা করেছিলাম, অবশেষে সেই ন্যায় পেয়েছি।'
এখনও চাকরি পাননি অনেকে। শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকে বসে রয়েছেন আন্দোলনে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে অনামিকা রায় বললেন, 'ওঁরাও যেন চাকরি পেয়ে যান। ৯০০ দিন পেরিয়ে গেল এখনও রাস্তায় বসে আছেন। আমি চাই অতি দ্রুত ওরা যেন চাকরি পান। ওরাও যোগ্য, ওরা কতদিন বসে থাকবেন।'
এদিন স্কুলের তরফে বলা হয়েছে, এদিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার মিলেছে। আগেই রেকমেন্ডেশন লেটার হাতে এসেছিল। এদিন DI-এর নির্দেশ অনুযায়ী পলিটিক্যাল সায়েন্সের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন অনামিকা রায়।
তৎকালীন মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা এবং ববিতার পর চাকরি পেলেন অনামিকা। নম্বরে কারচুপির অভিযোগে চাকরি যায় তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari)মেয়ে অঙ্কিতার। পরেশ-কন্যার জায়গায় চাকরি পান ববিতা সরকার। ভুল তথ্য দেওয়ায় চাকরি হারান ববিতাও। এরপরই মেধাতালিকায় নাম থাকা পরবর্তী দাবিদার হিসেবে মামলা করেন অনামিকা।