Recruitment Scam: বিভিন্ন পুরসভার কাজের টেন্ডার পেতেন অয়নই, অফিসে রয়েছে সরকারি দফতরের NOC সার্টিফিকেট!
SSC Recruitment Scam: ইডি-র অনুমান, অয়নের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই শান্তনুর টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) শনিবার ধৃত ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা (TMC) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee) ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) সল্টলেকের (Saltlake) অফিসে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চলছে, হয়েছে একটানা জিজ্ঞাসাবাদও। অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্যও হাতে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে ইডি (ED) সূত্রে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা ঢুকেছে। যা নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা বলেই ইডি-র অনুমান।
ইডি-র দাবি, অয়নকে বিভিন্ন পুরসভার কাজের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হত। প্রভাবশালীদের নির্দেশেই অয়ন কাজ করতেন বলে ইডি-র দাবি। এমনকী তাঁর অফিসের দেওয়ালে ঝুলছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের NOC সার্টিফিকেট। বাড়ির মালিকের দাবি, সরকারি ঠিকাদার পরিচয়ে এই অফিস ভাড়া নিয়েছিলেন অয়ন শীল।
ইডি-র অনুমান, অয়নের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই শান্তনুর টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ৫০-৬০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে। এর মধ্যে ২০১৯-এ ১০ দিনে ৭ কোটি টাকা শান্তনুর অ্যাকাউন্ট থেকে গিয়েছে অয়নের অ্যাকাউন্টে। এই টাকা লেনদেন নিয়ে প্রোমোটারের কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন, পার্থ-মানিকের পর এবার নতুন প্রভাবশালীদের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে?
এছাড়াও, ইডি-র দাবি, অয়নের অফিস থেকে শ চারেক OMR শিট, অ্যাডমিট কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা, রাজ্যের ৭০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি এবং ডিজিটাল নথি মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের অফিসে ৭টি কম্পিউটারের মধ্যে কয়েকটির অ্যাকসেস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর অয়নকে এনে সেগুলি খোলা হয়। অয়নকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, ২টি ট্রলি ব্যাগে করে প্রচুর নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডি অফিসে।
অন্যদিকে, পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কথায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর দাবি, গত তিনমাসে এই অফিস থেকে প্রচুর কাগজ ফেলা হয়েছে। প্রায়ই ভোরবেলায় এই অফিস থেকে লোকজনকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন বলেও দাবি করেন ওই সাফাই কর্মী।