Nadia Awas Scam: আবেদন করেও মেলেনি মাথা গোঁজার ঠাঁই, কবে মিলবে বাড়ি? উঠছে প্রশ্ন
Nadia News: ঝড়-বৃষ্টি দুর্যোগের রাতে যখন বাকিরা দরজা এঁটে ঘুমোয় নিশ্চিন্তে, তখন গোটা রাত চিন্তায় দুচোখের পাতা এক করতে পারেন না এরা।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: বাড়ি বলতে তাঁরা বোঝেন একটা শক্তপোক্ত মাথার ছাদ। অভিযোগ, বারবার তার জন্য় আবেদন করেও মেলেনি সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি। আর এই ছবিটা শুধুমাত্র একটা জেলার নয়। বহু মানুষ বাড়ি পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। পাল্টা সাফাই দিয়েছেন বিডিও।
আবেদন করেও মেলেনি বাড়ি: ঝড়-বৃষ্টি দুর্যোগের রাতে যখন বাকিরা দরজা এঁটে ঘুমোয় নিশ্চিন্তে, তখন গোটা রাত চিন্তায় দুচোখের পাতা এক করতে পারেন না এরা। সামান্য় আওয়াজেই আঁতকে ওঠেন গ্রামের গরীব মানুষগুলো। বাড়ি ভেঙে পড়ার ভয় গ্রাস করে তাঁদের। অভিযোগ, নতুন সরকারি বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি তো দেওয়া হয়েছে বারবার, তবে বাস্তবে তা হয়নি। ৮৫ বছর বয়সী গীতা বিশ্বাস নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের মোরাগাছা গ্রামের বাসিন্দা। এই বাড়িতেই তিনি আর তাঁর বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে থাকেন। অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে বারবার 'সরকারি আবাস যোজনা'য় আবেদন করেও তালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর। অবশেষে ২০১৮ সালের আবাস যোজনার তালিকায় নাম ওঠে গীতা বিশ্বাসের। তালিকায় নাম থাকায় সম্প্রতি সমীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু, বাড়ি না পাওয়া অবধি বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেন, "কিছুই নেই। বলি সব দেয় না কেউ। দশ বারো, স্বামী মারা গিয়েছে সেই থেকেই। স্বামী মারা গিয়েছে ১৮-১৯ বছর হল। ছেলে বিশেষভাবে সক্ষম, কিছু করতে পারে না। ভাঙা ঘরে জল পড়ে।''
তবে গীতা বিশ্বাস এক নন, অভিযোগ, আবাস যোজনায় বারবার আবেদন করেও ঘর পাননি এই গ্রামেরই আরেক বাসিন্দা বিশ্বনাথ বিশ্বাস। তিনি বলেন, "এই ঘরে ঝড়বৃষ্টি আসলে বাচ্চা নিয়ে আমি থাকতে পারি না। খুবই অসুবিধার মধ্য়ে বাস করি। আমি দুবার আবেদন করেছি। গ্রামের লোকের কাছে বলেছি, সদস্য়দের কাছে বলেছি। বলেছে আসবে আসবে। এই করতে করতে দিতে চায় না। যেটা শেষবার দিয়েছি ২ বছর হয়ে গেল। আর আগে একবার দিয়েছি প্রায় বছর তিনেক হয়ে গেছে সেটা। আমার একটা ঘর প্রাপ্য় সেটাও আমায় দিচ্ছে না। বললে পড়ে গ্রাহ্য় করে না জানেন। বলে এই কোটায় আসবে না পরের কোটায় আসবে। এই করতে করতে কুড়ি বছর কাটিয়ে দিল।''
রানাঘাট (২) BDO বলেন শুভজিৎ জানা বলেন, "আবাস যোজনার সমীক্ষা তো আমাদের ব্লকে পুরো দমে চলছে। গোটা জেলায় জেলা শাসকের নির্দেশে চলছে। আমাদের উদ্দেশ্য় একটাই যোগ্য় ব্য়ক্তি যাতে বঞ্চিত না হয়। সেটার জন্য় সমীক্ষা করছি। এটা অনুমোদিত তালিকা। আমার মানবিকতার জায়গাটা , কাউকে দেখে আমরা মানবিক জায়াগাটা বিচার করার চেষ্টা করছি। অনুমোদিত তালিকায় (গীতা বিশ্বাসের নাম আছে)। আমাদের উদ্দেশ্য় একটাই প্রকৃত প্রাপকয যাকে দেখে মনে হবে বাড়ি পাওয়া উচিত তাঁকে বাড়ি দেওয়া হবে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: 'ন্যয়বিচার আমরা চাই' সুপ্রিম শুনানির পর হতাশার সুর জুনিয়র চিকিৎসকদের গলায়