Shantanu Banerjee: খারিজ জামিনের আবেদন, ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে শান্তনু
Recruitment Scam: 'নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলাদা র্যাকেট চালাতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়', দাবি ইডি-র (ED)।
কলকাতা: খারিজ জামিনের আবেদন, জেল হেফাজতে শান্তনু (Shantanu Banerjee)। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেল হেফাজত। কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) ছাড়াই নিজে চাকরি বিক্রির নামে টাকা তুলতেন শান্তনু,' দাবি ইডি-র (ED)। এসম্পর্কে মিলেছে তথ্যও, দাবি তদন্তকারী সংস্থার। মোট ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গেছে শান্তনুর কাছে, খবর ইডি সূত্রে।
খারিজ জামিনের আবেদন: নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ১০ মার্চ হুগলির আরও এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার করে ইডু । কুন্তলের পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে হুগলির আরেক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার । ২০ জানুয়ারি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। হুগলির বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশিতে প্রচুর অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার দাবি ইডির। এদিন আদালতে তোলা হলে খারিজ হয়ে যায় জামিনের আবেদন।
যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাবা বিদ্য়ুৎ বণ্টন নিগমের কর্মী ছিলেন। শান্তনুদের একটি মোবাইল ফোনের দোকান ছিল। সেই সঙ্গে তাঁরা গাড়ি ভাড়া খাটাতেন। চাকরি করতে করতেই শান্তনুর বাবার মৃত্য়ু হয়। সেই চাকরি পান শান্তনু। একটি ছাত্রভোটের সূত্রে যুব তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের নজরে আসেন তিনি। তাঁকে বলাগড় ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয়। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তিনি তারকেশ্বর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন।
হুগলি জেলার রাজনীতিতে যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের প্রভাব কতটা ছিল, তা নিয়ে তাঁর গ্রেফতারির পর মুখ খুলেছেন, বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন, মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম উঠে আসে। ২০ জানুয়ারি হুগলির বলাগড়ে যুব তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি অফিসাররা। সেদিন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়িতে তল্লাশি ঘিরে কার্যত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ সেখানে যান ইডির অফিসাররা। বাড়ির সামনের গেটের চাবি না পাওয়া যাওয়ায়, বেশ কিছুক্ষণ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তদন্তকারীদের।
এরপর, কিছুটা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। সিআরপিএফকে সঙ্গে নিয়ে, কার্যত দৌড়ে বাড়ির পিছনের দিকে যান ইডির অফিসাররা। চাবি দিয়ে বাড়ির সামনের দিকের দরজা খোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, তা না হওয়ায়, পরে, পিছনের দিক দিয়ে, বাড়িতে ঢোকেন অফিসাররা। শান্তনুর বাড়িতে অভিযানের দিনই ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল যুব তৃণমূলের আরেক নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে। তারপর কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্য়েই তাঁকে জেরায় একাধিক নাম এবং চাঞ্চল্য়কর সব তথ্য় সামনে এসেছে! এবার গ্রেফতার হলেন যুব তৃণমূলের আরেক নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'কারও চাকরি যাবে না', পুরসভা-নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্নে আশ্বাস মদনের