Recruitment Scam : 'কীসের ভিত্তিতে ২৭০ জনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দিয়ে নিয়োগ?' প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে বোর্ড
Supreme Court of India : মামলা চলাকালীন পরীক্ষার OMR শিট কেন নষ্ট করে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সর্বোচ্চ আদালত।

বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : ২৭০ জন টেট পরীক্ষায় পাস না করলেও, তাঁদের চাকরির সুপারিশ করা হল কেন ? বৃহস্পতিবার প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় এভাবেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board) ! একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে, উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চাইলেন পর্ষদের আইনজীবী।
২০১৪-র টেটের (TET) ভিত্তিতে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৭০ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ডিভিশন বেঞ্চও একই নির্দেশ বহাল রাখায়, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে এই ২৭০ জন প্রার্থীর চাকরি হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু সেই নিয়োগ ঘিরে প্রথম থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছিল চাকরিপ্রার্থীদের অপর অংশ !
এর আগে তাঁদের আইনজীবী, আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৪-র নিয়োগে প্রাথমিকে ৪২ হাজারের বেশি শূন্যপদ ছিল। কিন্তু নিয়োগ হয়েছিল ৪০ হাজারের কিছু বেশি পদে। তিনি এও দাবি করেন, প্রশ্ন ভুল থাকায়, ২ হাজার ৭৮৭ জন অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি জানালেও, ২৭০ জনকে ১ নম্বর করে দেওয়া হয়। এরপর এদিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে। সেখানে পরপর প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। আদালত প্রশ্ন তোলে, ২৭০ জন পরীক্ষার্থী টেট পাস করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরির সুপারিশ করলেন কেন ? কীসের ভিত্তিতে ২৭০ জনকে নিয়োগের SMS পাঠিয়েছিল পর্ষদ ?
আদালতে প্রশ্ন ভুল ইস্যুতে ৬ নম্বর দেওয়া নিয়ে মামলা চলাকালীন পর্ষদের হলফনামায় কেন জানানো হয়নি যে, আগেই ২৭০ জনকে ১ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে ? শূন্যপদ নিয়েও এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পর্ষদকে। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ৪২ হাজার শূন্যপদের মধ্যে ২ হাজার পদ কেন ফাঁকা রাখা হয়েছিল ? নিয়োগের অধিকার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। পর্ষদ শুধু সুপারিশ করতে পারে। তাহলে ২ হাজার পদ বাদ রাখার কারণ কী ? মামলা চলাকালীন পরীক্ষার OMR শিট কেন নষ্ট করে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সর্বোচ্চ আদালত।
একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে, জবাব দেওয়ার জন্য সময় চান পর্ষদের আইনজীবী। ১৬ই মে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।





















