![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
TMC MLA: পুকুরে মোবাইল ফেলার ঘটনাটা 'সাজানো', আদালতে অভিযোগ অস্বীকার জীবনকৃষ্ণ সাহার
Court on TMC MLA Jiban Krishna Saha: 'নিয়ম অনুযায়ী CBI তল্লাশির শুরুতেই ফোন নিজেদের হেফাজতে নেয়, তাহলে কীভাবে মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলবেন জীবনকৃষ্ণ ?' প্রশ্ন বিধায়কের আইনজীবীর।
![TMC MLA: পুকুরে মোবাইল ফেলার ঘটনাটা 'সাজানো', আদালতে অভিযোগ অস্বীকার জীবনকৃষ্ণ সাহার Recruitment Scam: TMC MLA Jiban Krishna Saha has denied the incident of throwing the mobile phone in the pond TMC MLA: পুকুরে মোবাইল ফেলার ঘটনাটা 'সাজানো', আদালতে অভিযোগ অস্বীকার জীবনকৃষ্ণ সাহার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/05/11/94ac251e9319d510c3f3a04a7586f8081683818813655484_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পুকুরে মোবাইল ছুড়ে ফেলার ঘটনা আদালতে অস্বীকার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণর। 'সাজানো অভিযোগ, বদনাম করার জন্য ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী সিবিআই তল্লাশির শুরুতেই ফোন নিজেদের হেফাজতে নেয়, তাহলে কীভাবে মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলবেন জীবনকৃষ্ণ ?', প্রশ্ন বিধায়কের আইনজীবীর।
তল্লাশি অভিযানের কোনও ভিডিও রেকর্ডিং আছে সিবিআইয়ের কাছে? 'যদি অভিযোগ সত্যিও হয়ে থাকে, তবে সিবিআই কি সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে?' আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, সওয়াল জীবনকৃষ্ণর আইনজীবীর। 'সবাই দেখেছে কীভাবে পুকুর থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে' কেস ডায়েরিতে সবকিছু উল্লেখ আছে, পাল্টা সওয়াল সিবিআইয়ের। রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোনের তথ্য। সিবিআইয়ের দাবি, দুটি ফোন থেকে সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য মিলেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিয়োগ ছাড়া অন্য বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। এবার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য সামনে রেখে জেলে গিয়ে জীবনকৃষ্ণকে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
তৃণমূল বিধায়কের আন্দির বাড়িতে সিবিআই অভিযান ঘিরে তৈরি হয়েছিল একের পর এক নাটকীয় পরিস্থিতি। অভিযান শুরু হয় দুপুরে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। শুরু হয় বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জে বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতেও অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই ওই দিন বিকেল সোয়া ৫টা নাগাদ তদন্তকারীদের হাত থেকে নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে।
ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জোড়া মোবাইলের সন্ধান পেতে পুকুর থেকে জল তোলার কাজ শুরু হয়। শনিবার বিকেলে বিধায়কের বাড়ির কাছে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ৫টি ব্যাগভর্তি নথি। যেগুলি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বলে সিবিআই দাবি করেছে। এরপর সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর, উদ্ধার হয় বিধায়কের একটি মোবাইল। ৭ ঘণ্টা তল্লাশির পরে পুকুর থেকে জীবনকৃষ্ণের দ্বিতীয় মোবাইলের হদিশ মেলে।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
কী তথ্য লোপাটে মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক? পুকুরের পাঁক থেকে উদ্ধার মোবাইল ফোনেই কি দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য? বিধায়ক হয়েও ফোন ফেলে তথ্য লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ আগেই তুলেছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার ওই দুই ফোনই বড় হাতিয়ার হতে চলেছে। সিবিআইয়ের দাবি, দুটি ফোন থেকে তথ্য মিলেছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)