RG Kar Medical Student Death: 'ফাঁসির গ্যারান্টি কে দেবেন? মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন মমতাদি', আর জি কর কাণ্ডে মন্তব্য নির্ভয়ার বাবার
Kolkata Medical Student Death: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের উপর যে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে শিউড়ে উঠছেন সকলে।
কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হলেও, একাধিক জন জড়িত থাকতে পারে বলে দাবিও সামনে আসছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, প্রয়োজনে ফাঁসিতে ঝোলানোর আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। এই আবহে মুখ খুললেন দিল্লির নির্ভয়ার বাবা। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের অপরাধীরা কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকে। তাই এসব বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনও সরকারই আন্তরিক হয় না। (RG Kar Medical Student Death)
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের উপর যে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে শিউড়ে উঠছেন সকলে। আর সেই আবহে নির্ভয়ার বাবার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে, এবিপি আনন্দে তিনি বলেন, "সবাই ক্ষমতায় থাকতে চান। সবাইকে চেয়ারে বসতে হবে। মহিলাদের সঙ্গে এই সমাজে কী কী ঘটছে, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। শাসক-বিরোধী যে যা-ই বলুন, কথা শুনে দেখুন, ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই বলছেন, পরস্পরকে আক্রমণ করছেন।" (Kolkata Medical Student Death)
আর জি করের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা। কিন্তু নির্ভয়ার বাবার দাবি, রাজনীতিকরা শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। তাঁর বক্তব্য, "মহিলাদের উপর অত্যাচার হোক বা সমাজে ঘটে চলা অন্যায়, কেউ কথা বলেন না। নেতারা জনতাকে বিভ্রান্ত করেন। মমতাদি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। কী সাজা দেবেন? ওঁর কাছে ফাঁসি দেওয়ার হাতিয়ার আছে কি? সরকারের মানসিকতাই ঠিক নয়।"
মহিলাদের সঙ্গে যা ঘটছে, এই সমাজে যা যা অন্যায় ঘটছে, তার জন্য সরকারই দায়ী বলে মন্তব্য করেন নির্ভয়ার বাবা। তাঁর কথায়, "ফাঁসি হবেই, এই গ্য়ারান্টি কে দেবেন? নির্ভয়ার সময় এত কিছু ছিল, তাও লোক জন ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন। আসলে হাতির খাওয়ার এবং দেখানোর দাঁত আলাদা হয়।"
আর জি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও অত্যাচারের ভয়াবহতা দেখে একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে দাবি উঠছে। এই আবহে আর জি করের আরও চার জুনিয়র চিকিৎসককে তলব করেছে পুলিশ। ওই চার চিকিৎসকের সঙ্গে ওই রাতে তরুণী চিকিৎসক খাবার খান বলে জানা গিয়েছে। গতকাল জুনিয়র চিকিৎসক, PGT ট্রেনি-সহ ৭ জনকে মাঝরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে আজ ফের তলব করা হয়েছে। ধর্ষণ-খুনের ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় ১৫ জন ইনফ্লুয়েন্সারকেও তলব লালবাজারের।