RG Kar News: 'পুলিশের পায়ে ধরেছি, বারবার বলেছিলাম মেয়েটাকে একবার দেখতে দিন', চরম হেনস্থার অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের
Ghantakhanek Sange Suman: মেয়ের 'এইভাবে' মৃত্যু মেনে নিতে পারে না মায়ের মন। গলা ধরে আসে তাঁর। বারবার বলে চলেন সব শেষ। আর্জি করেন সকলকে যে পাশে থাকার।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ঘর আজ ফাঁকা। চোখের পলকে পেরিয়ে গিয়েছে একটা সপ্তাহ। গত সপ্তাহের শুক্রবারই মেয়েকে হারিয়েছে একটি পরিবার। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ মা-বাবা। আজ তাঁরা লড়াই করছেন মেয়ের 'আত্মার শান্তির জন্য। আর কোনও 'মায়ের কোল যাতে এভাবে খালি না হয়' তার জন্য। বুকে কষ্ট চেপেই আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানটিতে সদ্য মেয়েহারা মা-এর কিছু বক্তব্য উঠে আসে। এদিন এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দের কথায়, 'এক সপ্তাহ আগে আরজি করে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবাকে সেই সময়ে এবিপি আনন্দে প্রশ্নের মুখোমুখি আনা হবে না, এমনটাই নির্দেশ ছিল। তবে আজ তিনি যা বলেছেন তা বিস্ময়কর'। প্রশ্ন ওঠায় সমাজের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়েই।
মা-বাবাকে 'ভুয়ো' ফোন ?
মেয়েকে সদ্য হারানো মায়ের কথায়, 'দেরি হয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা আমাদের ভাল লাগছিল না। আমি তো মা, আমি তো সব হারিয়ে ফেলেছি। এই দিন যেন কোনও মায়ের কাছে না আসে। ওই দিন হাসপাতাল থেকে একজন ফোন করে বলেছিলেন আপনার মেয়ে অসুস্থ আপনি আসুন। বার বার বলেছি যে আমার মেয়ের কী হয়েছে। বলা হয়েছিল যে আমি কি ডাক্তার যে বলতে পারব? আপনারা আসুন। এরপর বেরিয়ে যাই সেই সময় ফোনে বলা হয় আমি হাসপাতালের সুপার বলছি আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তখন বুঝলাম সব শেষ।
পুলিশি হেনস্থার শিকার?
আর জি কর-এর নির্যাতিতার মা বলেন, 'ওখানে পৌঁছনোর পর আমাদের প্রায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। চেস্ট মেডিসিনের দফতরেই বসেছিলাম। দেখতেই দিচ্ছিল না। পুলিশের পায়ে ধরেছি। বললাম একবার অন্তত মেয়ের মুখটা দেখান। বলা হয় যে তদন্ত চলছে। সে অনেক টানা হ্যাঁচড়ার পর দেখার সুযোগ পাই। সেদিন আমাদের এত হেনস্থা হয়েছে তা বলার নয়। দেহ নিয়ে আসা পর্যন্ত তা চলে। আমাদের ওঁরা খুব চাপের মধ্য রেখেছিল। পুলিশ তাড়াহুড়ো করছিল আমাদের ওখান থেকে বের করে দিতে। গাড়ি ভাঙচুরেরও চেষ্টা করা হয়। তখন ওদের বলি যে আমার মেয়ের গাড়িটা খুব প্রিয় ছিল দয়া করে ওটাকে ভাঙবেন না। তারপর কোনও রকমে সব শেষ হল। সব হারিয়ে ফেলেছি।'
'যা হারিয়ে যায়, তা আগলে বসে রইব কত আর'
মেয়ের 'এইভাবে' মৃত্যু মেনে নিতে পারে না মায়ের মন। গলা ধরে আসে তাঁর। বারবার বলে চলেন সব শেষ। আর্জি জানান সকলকে, পাশে থাকার। তাঁর কথায়, কোটি কোটি মেয়েকে পেয়েছি পাশে, যতদিন না বিচার পাচ্ছি ততদিন যেন সকলে পাশে থাকে.......
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে