Flood Situation: জলে ডুবে গ্রাম! দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জেলায় জেলায় অভয়া ক্লিনিক
Abhaya Clinic: বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে অভয়া ক্লিনিকে জুনিয়র থেকে সিনিয়র চিকিৎসকরা।
বিশ্বজিৎ দাস ও বিটন চক্রবর্তী: স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে ধর্না তোলার ঘোষণার সময়েই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করেছিলেন যে বন্যা দুর্গতদের পাশে তাঁরা দাঁড়াবেন। পূর্ব ঘোষণামতোই অভয়া ক্লিনিক চালু করেছেন তাঁরা।
এর আগে পাঁশকুড়ায় চালু হয়েছিল অভয়া ক্লিনিক। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় করা হল অভয়া ক্লিনিক। বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসার পাশাপাশি, ওষুধ বিলি করলেন আরজি কর মেডিক্যাল এবং এমআর বাঙুর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। ডেবরা ব্লকের বিক্রমপুর এলাকায় এদিন অভয়া ক্লিনিক খোলা হয়। দলে দলে মানুষ ভিড় করেন সেখানে। মেডিসিন থেকে জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক থেকে পেডিয়াট্রিক অর্থাৎ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগীদের পরীক্ষা করেন। জুনিয়র ডাক্তার সোহম সামন্ত জানান,৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ ১২ জন চিকিৎসক এই ক্লিনিকে উপস্থিত আছেন। সকাল ১০ টা পর্যন্ত ১৩৮ জন নাম নথিভুক্ত করেছেন। আরও রুগি আসছেন। ওই চিকিৎসক বলেন, 'এখানে এসে বুঝলাম মানুষের মধ্যে চিকিৎসার চাহিদা রয়েছে। সাধারণ রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বন্যার জল সরে গেলে জলঘটিত নানা রোগ দেখা যায়। সেই রোগ এড়াতে খাবার জলের সঙ্গে জিওলিন মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং জিওলিন বিলি করা হচ্ছে।'
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কনকপুরেও খোলা হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স মিলিয়ে ৪০ জন এসেছেন। পাঁশকুড়ার গড় পুরুষোত্তমপুর, যেখানে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেছিল, এদিনও সেখানেও মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। পাঁশকুড়ায় চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, 'যে আন্দোলন আমরা করেছি, চলছে এখনও। সেই সময় সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের মনে হয়েছে এখন ডাক্তার হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।'
বন্যা পরিস্থিতি:
এখনও জলমগ্ন ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। পাওয়া যাচ্ছে না পানীয় জল। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ঘাটাল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। একই অবস্থা হুগলির খানাকুলের। ৫ দিন কেটে গেলেও, এখনও জলমগ্ন হুগলির খানাকুল। মারোখানা, পানশিউলি, জগৎপুর, গড়েরঘাট, বন্দর, ধান্যঘোড়ি, ঘোড়াদহ, পোল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলের তলায়। বাড়ির একতলায় জল, রাস্তায় বুক সমান জল ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। উঁচু রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যেই খানাকুলে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। ৫ দিন ধরে বন্যার কবলে, খাবার ও পানীয় জলের সঙ্কট চরমে। প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছে না বলে অভিযোগ।
ফের মমতার চিঠি:
ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফের ৪ পাতার চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর দাবিকে নস্যাৎ করে মোদিকে চিঠি মমতার। 'রাজ্যের সম্মতি নিয়েই ডিভিসি-র জল ছাড়ে, এই দাবি মানতে পারছি না, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একতরফা ভাবে নেয় কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক, কোনও কোনও সময় জল ছাড়ার বিষয়ে রাজ্যকে জানানোও হয় না, সম্প্রতি মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা আগে নোটিস দিয়ে ৯ ঘণ্টা ধরে জল ছাড়া হয়েছে, বারবার ডিভিসি-র চেয়ারম্যানকে অনুরোধ সত্ত্বেও জল ছাড়া বন্ধ হয়নি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ সত্য নয়', গত কয়েকদিন ধরে ডিভিসি-র জল ছাড়া প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ মুখ্যমন্ত্রীর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।