RG Kar Case : সাজা ঘোষণার আগে বিচারকের কাছে ফের বড় দাবি সঞ্জয়ের
Sanjay Ray : বিচারক এদিন সঞ্জয়কে জিগ্যেস করেন, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে? সঞ্জয় জানায়...

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : বিচারক বলেছিলেন, সোমবার তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। দেওয়াও হল। ২১০ নম্বর রুমে সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বিচারক অনির্বাণ দাস দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে বলেন, 'কিছু বলার থাকলে বলুন'। সঞ্জয় ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চাঞ্চল্যকর দাবি করে।
বিচারক সঞ্জয়কে বলেন, 'আপনাকে বলেছিলাম এই মামলায় ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৬৪ নম্বর ধারায় যাবজ্জীবন, ৬৬ নম্বর ধারায় মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন এবং ১০৩ (১) ধারাতেও মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন হতে পারে। এই বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য? ' সঞ্জয় ফের একই কথা বলে, 'খুন ও ধর্ষণে জড়িত নই, ফাঁসানো হয়েছে'। টেনে আনে ফের রুদ্রাক্ষের মালার প্রসঙ্গ। দাবি করে, 'ধর্ষণ-খুন করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আপনি সব দেখছেন। আমি যদি করতাম, রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, সেটা কি নষ্ট হত না? প্রথম দিন থেকে আমাকে কিছু বলতে দেয়নি, মারধর করে যেখআনে সই করিয়েছে। যা ইচ্ছে করেছে। CBI মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে গিয়ে বেহালা থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর রেলের হাসপাতাল, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে স্যর। ' বিচারক এদিন সরাসরি সঞ্জয়কে বলেন, 'যা হয়েছে আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। যা যা প্রমাণ এবং বক্তব্য সামনে এসেছে তার ভিত্তিতে এই বিচার করছি।'
সঞ্জয় রায় শাস্তি থেকে বাঁচতে দাবি করে, বাড়িতে মা আছেন বলে। কিন্তু বিচারক এদিন সঞ্জয়কে জিগ্যেস করেন, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে? সঞ্জয় জানায়, পুলিশ ব্যারাকে থাকত, তাই মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। বাড়ির লোক কেউ যোগাযোগও করেনি বলে বিচারককে জানায় সঞ্জয়।
সিবিআই ফের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই দাবি করে। CBI এর আইনজীবী মন্তব্য করেন, চিকিৎসক টাকার জন্য কাজ করছিলেন না। তিনি টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করছিলেন শুধুমাত্র মানুষের সেবা করার জন্য। খুন, বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ, তাই কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে সমাজের আস্থা থাকে দাবি করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী।
শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, দুপুর পৌনে তিনটেয় সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
আরও পড়ুন :






















