Kolkata Accident: ছুটির দিনে স্কুটারে চড়ে বেরিয়েছিলেন বাবা-মা, মেয়ে, পিছন দিক থেকে এসে ৩ জনকেই পিষে দিল লরি
Kolkata Road Accident: একজন প্রত্য়ক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, বেলঘরিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের ওই অংশ বেশ দুর্ঘটনাপ্রবণ। রোজই কিছু না কিছু দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, ছোট বড়।

সমীরণ পাল, কলকাতা: ছুটির দিনে কলকাতার বুকেই ফের দুর্ঘটনা। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর। একটা লরি শেষ করে দিল একটা গোটা পরিবার। লরির চাকার পিষ্ট বাবা-মা-মেয়ে। দক্ষিণেশ্বর থেকে এয়ারপোর্টের দিকে স্কুটারে করে আসছিলেন একই পরিবারের ৩ জন। মালঞ্চের কাছে স্কুটারে ধাক্কা মারে লরি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত ৩ জনের দেহ বারাসাত হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
একজন প্রত্য়ক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, বেলঘরিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের ওই অংশ বেশ দুর্ঘটনাপ্রবণ। রোজই কিছু না কিছু দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, ছোট বড়। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত আলো নেই বলেও জানা গিয়েছে। দ্বিতীয়ত বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিবেগ থাকে খুব বেশি। সেটাও দুর্ঘটনা ঘটার একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে ওই পরিবারের ৩ জন স্কুটারে করে ফিরছিলেন।সেই সময়ে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ওই স্কুটারকে পিছন দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে। তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনার ফলে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চূড়ান্ত যানজট তৈরি হয়। ট্রাকটির খোঁজে পুলিশ ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে।
সদ্যই বালিতে এমনই একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বালিতে ট্যাক্সি ও দুটি বাইককে পিষে দিয়েছিল সিমেন্ট মিক্সিং ডাম্পার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ট্যাক্সির চালক ও এক যাত্রীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিশালাকার ডাম্পারের নিচে সম্পূর্ণ দলা পাকিয়ে যায় হুলুদ রঙের ট্যাক্সিটি। দুটি বাইকের তিন আরোহীও গুরুতর জখম হন। তাঁদের হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আর্থ মুভার এনে ডাম্পার সরিয়ে গ্যাস কাটার দিয়ে দরজা কেটে ট্যাক্সি থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ৩ জন বাইক আরোহীও আহত হন। রাত ১১টা বালির দেওয়ানগাজি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘ যানজট লেগে যায় বালির জিটি রোডে। দুর্ঘটনাস্থলে সিইএসসির কর্মীরা এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ডাম্পারটিকে জেসিবি দিয়ে টেনে সরানোর পর গ্যাসকাটার দিয়ে ট্যাক্সি কেটে দেহ দুটি বের করা হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের গাড়িও আসে। এখনও মৃতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
