Sabyasachi Dutta: বাগুইআটির তৃণমূল কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়িয়ে প্রোমোটারকেই নিশানা সব্য়সাচী দত্তের
Baguiati promoter bitten: তোলা না দেওয়ায় প্রোমোটারকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনার, ৮ দিন হয়ে গেলেও, এখনও বাগুইআটির তৃণমূল কাউন্সিলরের হদিশ পায়নি পুলিশ।
সমীরণ পাল, অর্ণব মুখোপাধ্য়ায় ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: ৮ দিন পার, এখনও অধরা তোলাবাজি ও মারধরে অভিযুক্ত বাগুইআটির তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। এদিকে, কার্যত কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়িয়ে, আক্রান্ত প্রোমোটারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা সব্য়সাচী দত্ত। বললেন, 'প্রোমোটার কেন আপস করেছেন? এটা তাঁরই দোষ।' এই ঘটনায় বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্য়ান সব্য়সাচী দত্ত বলছেন, 'নিশ্চয়ই উনি (আক্রান্ত প্রোমোটার) আপস করেছেন এবং ওঁর (আক্রান্ত প্রোমোটার) দোষ তো এটা। কেন দিয়েছেন? প্রথমেই তো ওঁর (আক্রান্ত প্রোমোটার) অভিযোগ করা উচিত ছিল। কেন দিলেন?'
তোলা না দেওয়ায় প্রোমোটারকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনার, ৮ দিন হয়ে গেলেও, এখনও বাগুইআটির তৃণমূল কাউন্সিলরের হদিশ পায়নি পুলিশ। আর এই প্রেক্ষাপটে এবার বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়িয়ে উল্টে আক্রান্ত প্রোমোটারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্য়ান, সব্য়সাচী দত্ত।
সব্য়সাচী দত্ত বলছেন, 'যিনি অভিযোগকারী, তিনি বলছেন। যাঁর নামে অভিযোগ, তাঁকে কিন্তু এখনও তাঁর কোনও আত্মপক্ষ সমর্থনে আমরা কিছু পাইনি। নিশ্চয়ই উনি আপস করেছেন এবং ওঁর দোষ তো এটা। কেন দিয়েছেন? প্রথমেই তো ওঁর অভিযোগ করা উচিত ছিল। কেন দিলেন? উনি বলছেন আমার আইনসঙ্গতভাবে আমি প্ল্য়ান পাস করিয়ে কাজ করছি। তো, ওঁকে চাইল, আর উনি দিয়ে দিলেন, দিয়েছেন কিনা, আমি জানি না। আর যদি দিয়ে থাকেন, বেআইনি করেছেন। যিনি চুরি করেন, আর যিনি চোরকে সাহায্য় করেন, দুজনেই অপরাধী।'
অন্যদিকে বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটার বলছেন, 'যদি ওটুকু না দিতাম, আমাকে মেরে, পুঁতে এখানে দিত। এটা তো আতঙ্ক, ভয়েতে। আমি তো চাই, ঝামেলা করব না। কমবেশি দিয়ে টিয়ে যদি কাজ করতে পারি। এখানে আমি না। সব প্রোমোটাররাই কমবেশি দেয়। এগুলো তো চলে। আমি কর্পোরেশনের অনুমোদন অনুযায়ী করছি। তাহলে আমার দুর্বলতাটা কী? সেটা মেয়র মহোদয় বা চেয়ারম্য়ান সাহেব সবাই দেখবেন।
গত রবিবার...তোলা না দেওয়ায়, বাগুইআটির বাসিন্দা, পেশায় প্রোমোটার কিশোর হালদারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে, বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেন তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি টাকা না দেওয়ায়, নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রোমোটার জোর করে কাজ শুরু করায়, তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরা এসে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। গত সোমবার, অভিযোগের সত্য়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বিধাননগর পুরসভার তৃণমূলনেত্রী ও মেয়র, কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলছেন, 'অভিযোগ আসতেই পারে। সত্য়তা কতটা আছে বলতে পারব না। অভিযোগ এসেছে মানেই দোষী, সেটা বলা যাবে না। সমরেশকে আমি কাউন্সিলর হিসেবে চিনি। ভদ্র মার্জিত। কোথায় কী করেছে সেটা তো জানা সম্ভব নয়। আমার দল আমাদের সরকার যেখানে দেখবে অন্য়ায় প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্য়বস্থা নেবে।'
স্থানীয় সাংসদ আবার বলেছিলেন, কাউন্সিলর নাকি এসবের মধ্য়ে ছিলেনই না!দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, 'আমি পুলিশকেও বলছি ব্য়বস্থা নিতে কিন্তু পুলিশও আমায় বলল যে ওরা নিশ্চিত নয় যে আমাদের সমরেশ চক্রবর্তী ছিল কি না। তবে ওরা গ্রেফতার করছে। আমি সমরেশ চক্রবর্তীকে চিনি। আমায় পুলিশ বলেছে সে তার মধ্য়ে ছিল না।'আর এবার আক্রান্ত প্রোমোটারকেই দায়ী করলেন সব্য়সাচী দত্ত! তৃণমূল কাউন্সিলরের খোঁজে বুধবার আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতা জঙ্গলের এই রিসর্টে হানা দেয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল...দিঘার একাধিক হোটেলে তল্লাশি চালায় বাগুইআটি থানার পুলিশ।