Byron Biswas: জয়ের ২০ দিন পর কাটল জট, বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বায়রন বিশ্বাস
Sagardighi Bypolls:বুধবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন বায়রন। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
কলকাতা: শূন্য থেকে তুলে দলকে বিধানসভায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এত দিনে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস (Byron Biswas)। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi Bypolls) ফল ঘোষণার ২০ দিন পর, বুধবার শপথগ্রহণ করলেন বায়রন। সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী ছিলেন তিনি। তৃণমূলকে (TMC) হারিয়ে ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হন।
শাসকদলের জন্যই শপথে দেরি, দাবি বায়রনের
বুধবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন বায়রন। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। শপথগ্রহণে দেরি হওয়া নিয়ে সরাসরি তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন বায়রন। তিনি বলেন, "আজ যদি তৃণমূলের বিধায়ক হতাম, পর দিনই শপথ হয়ে যেত। আজ ত দিন পর শপথ হল ভাবুন। সবকিছু চোখের সামনে ঘটছে। মানুষ সব দেখছেন। শাসকদল ইচ্ছা করে শপথগ্রহণে দেরি করাল।"
আরও পড়ুন: SSC Case: কারও থেকে ৬ লক্ষ, কারও থেকে ১০ লক্ষ! নিয়োগ দুর্নীতিতে কাঠগড়ায় হুগলির আরও এক নেতা
সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরও এতদিন বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারেনিন বায়রন। তার কারণ জানতে এর আগে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গেও দেখা করেন বায়রন। রাজ্যপাল দিন ঠিক করবেন বলে সেই সময় বায়রনকে বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রী। রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। রাজ্যপাল দিন ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বায়রনের গ্রেফতারির দাবিতে সরব তৃণমূল
এর মধ্যেই বায়রনের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। ধুলিয়ানের তৃণমূল নেতাকে গালিগালাজ, হুমকির অভিযোগ তোলা হয় বায়রনের বিরুদ্ধে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারি দাবি ওঠে। অধীর কি বায়রনের বক্তব্য সমর্থন করেন, এ দিন শপথের আগে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদি বায়রনের দাবি, মিথ্যা তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি তৃণমূলে নেই বলেই এত হয়রানি। এ নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই বলেও জানিয়ে দিলেন।
এ দিন শপথের আগেও বায়রনের গ্রেফতারির দাবি জানালয় তৃণমূল। বায়রনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার দাবি জানান কুণাল। বায়রন যদিও গোটা ঘটনাকেই চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন। তাঁর অভিযোগ, আগেও তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। ফাঁসানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু যে যত চেষ্টাই করুক, শেষ মেশ আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।