Suvendu Adhikari: শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে চান না মমতা, রাজীব কুমার: শুভেন্দু
Sandeshkhali Chaos: এদিন ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এবার গ্রামবাসীদের মুখে উঠল শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজের নাম। জমি দখলের অভিযোগে ভেড়ির ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা: ৪৯ পেরিয়ে গেলে এখনও অধরা শেখ শাহজাহন। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজীব কুমার (DGP Rajiv Kumar) গ্রেফতার করতে চান না বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'শেখ শাহজাহান না থাকলে ভোট করতে পারবে না।'
গতকাল দুপুর থেকে সন্দেশখালিতে অ্যাকশনে নামেন রাজীব কুমার। আর এরইমধ্যে শেখ শাহজাহানের পর সন্দেশখালির অভিযোগ এবার 'সিরাজ' ওরফে শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। বেরমজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ চাষের জমি। চাষের জমিতে জেসিবি এনে মাটি কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বাধা দিতে গেলে, শাহজাহানের ভাই সিরাজের লোকজনের বিরুদ্ধেই জমির পাশে ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়ে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। পুলিশের সামনেই শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মহিলারা। পাশাপাশি খেলার মাঠ দখল করে ভে়ড়ি বানিয়েছিল শেখ শাহজাহানে শাগরেদরা। এদিন সেই মাঠ থেকে মুছল শেখ শাহজাহানের নাম।
কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আজকে শাহজাহানের নামের উপর চুন লাগানো হয়েছে। এগুলো করতে রাজীব কুমার গিয়েছিলেন। কারণ রাজীব কুমার বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করার বিষয়ে আগ্রহী নন। কারণ শাহজাহান না থাকলে নির্বাচন হবে না। ডিজিপি যাওয়ার পরও শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ায় তার বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ সিরাজের জোর করে দখল করা জমিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আইনের উপর আস্থা উঠে গেলে এরকম হয়।''
একদিকে ৪৯ দিন ধরে অধরা শেখ শাহজাহান। অন্যদিকে, ফেরার তৃণমূল নেতার বাহিনীর বিরুদ্ধে জমেছে নালিশের পাহাড়। সন্দেশখালিকাণ্ডের দু’ সপ্তাহ পর গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের DG। তাঁর আশ্বাস, 'যারা আইন ভেঙেছে, সকলে গ্রেফতার হবে।' গতকাল সন্দেশখালিতে গিয়েছেন রাজীব কুমার। রাত কাটান পূর্ত দফতরের গেস্ট হাউসে। তার আগে পুলিশের বোটে চড়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সন্দেশখালি, ধামাখালি, জেলিয়াখালি, তুষখালি-সহ বিভিন্ন দ্বীপে ঘোরেন DG। বাইকে চড়ে এলাকায় টহল দেন। সূত্রের খবর, মূলত সন্দেশখালির ভৌগলিক চেহারা বুঝতেই DG-র এই অভিযান। এরপর ADG দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের SP-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজীব কুমার। তার আগে গেস্ট হাউসে বৈঠক করেন প্রায় ৪০০ সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গেও। DG-র নির্দেশে রাত ৩টে পর্যন্ত বাইকে চড়ে সন্দেশখালিতে নজরদারি চালায় পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।