Khalistani Comment Controversy: 'মমতার কাছে নম্বর বাড়াতে অসত্য তথ্য পরিবেশন', 'খলিস্তানি' বিতর্কে পুলিশ অফিসারকে একহাত শুভেন্দুর
Police on Khalistani Comment Controversy: বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ
কলকাতা : 'খলিস্তানি' মন্তব্য বিতর্কের অভিযোগ ঘিরে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু, তিনি কি সত্যিই 'খলিস্তানি' বলেছেন পুলিশ অফিসারকে ? কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী ?
বিরোধী দলনেতা বলেন, "পাকিস্তানি, খলিস্তানি ...এসব আমাদের বলার দরকার হয় না। এই অফিসার যেভাবে রুঢ়ভাবে ব্যবহার করেছেন, তিনি তৃণমূল বা তৃণমূল নেত্রীকে দিয়ে নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য এসব করছেন। আমরা এই ধরনের কাজ কখনোই করি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সস্তার রাজনীতি করেন। তাঁর এই অফিসার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য এ ধরনের অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছেন। কোনও ধর্ম, সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে আমরা কোনও দিন বলিনি। ভবিষ্যতেও বলব না। পূর্ণাঙ্গ ভারত,অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন, দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।"
আজ ধামাখালিতে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদের ৬ সদস্য়র দলকে আটকে দেয় পুলিশ। এই সময়ে পুলিশের তরফে একদম সামনের সারিতে ছিলেন IPS অফিসার যশপ্রীত সিংহ। একটা সময় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার উত্তপ্ত বাক্য় বিনিময় শুরু হয়। বচসায় জড়ান বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। ঠিক সেই সময় যশপ্রীত সিংহকে 'খলিস্তানি' বলা হয় বলে অভিযোগ। এতে ক্ষুব্ধ হন ওই পুলিশ অফিসার। তিনি প্রতিবাদ জানান। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বাদানুবাদ শুরু হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়াওয় । তিনি একহাত নেন বিজেপিকে।
পুলিশের তরফে এডিজি দক্ষিণবঙ্গের সাংবাদিক বৈঠকে করে বললেন, "বিরোধী দলনেতা সরাসরি আঙুল উঁচিয়ে যশপ্রীত সিং যিনি ওখানে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁক খলিস্তানি বলেছেন। তাঁকে বলেছেন 'ইনি খলিস্তানি'। একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এরকম একটা প্ররোচনামূলক এবং অসম্মানজনক মন্তব্য শুনে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। আমরা এর প্রতিবাদ এবং নিন্দা তো করছি। একইসঙ্গে জানাচ্ছি, এভাবে কোনও মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস বা ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যায় না। এটা শুধু নিন্দনীয় নয়, এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত। আমরা এখানে ডিউটি করছি। কেউ শিখ, কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম হতেই পারেন। তার জন্য় এভাবে উস্কানিমূলক, অপমানজনক, প্ররোচনামূলক মন্তব্য করা, এটা ধর্মগত বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা। এটা করা যায় না। একজন পাগড়ি পরেছেন বলে তিনি খলিস্তানি হয়ে যাবেন ? এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সমস্ত ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেব।"