Sandhya Mukhopadhyay Demise: রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে থাকবে সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহ, কাল পূর্ণ মর্যাদায় শেষকৃত্য
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাল বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মরদেহ রাখা থাকবে রবীন্দ্রসদনে। পূর্ণ মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
কলকাতা: প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে বের করে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হল পিস ওয়ার্ল্ডে। আজ রাতে সেখানেই রাখা হবে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাল বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মরদেহ রাখা থাকবে রবীন্দ্রসদনে। পূর্ণ মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সঙ্গীত জগতে আবার ইন্দ্রপতন! প্রয়াত হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কোভিডকে হারালেও, জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ৯০ বছরের কিংবদন্তী। ২৭ জানুয়ারি থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আজ হঠাৎ করেই শিল্পীর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের অংশে নতুন করে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। সন্ধে সাড়ে সাতটায় চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম শিক্ষাগুরু ছিলেন যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়।
ছ’বছর তাঁর কাছে তালিম নিয়েছিলেন তিনি। বেগম আখতার নিজের হাতে তানপুরা বাঁধতে শিখিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে সঙ্গীতশিক্ষা নিয়েছেন। সিনেমার গানের পাশাপাশি লোকসঙ্গীত, কীর্তন, ভজন, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুলগীতিও গেয়েছেন তিনি। গেয়েছেন হিন্দি সিনেমাতেও। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকারের সঙ্গীত অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ছিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
১৯৩১-এর আশ্বিন মাসে শিউলি ঝরা সময়ে জন্ম তাঁর। তাঁর বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন সু-গায়ক। দুর্দান্ত টপ্পা গাইতেন তাঁর মা হেমপ্রভা দেবী। মা-বাবার কাছেই ছোটবেলায় সুরের তালিম শুরু। গল্পদাদুর আসরে গান গেয়ে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন পাঁচ টাকা। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম শিক্ষাগুরু ছিলেন যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়। ছ’বছর তাঁর কাছে তিলিম নিয়েছিলেন সন্ধ্যা।
এরপর নিজের বড়দা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ইচ্ছেপ্রকাশ করেন, বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে গান শিখতে চান। তাঁর আবদার রাখতে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বড়দা জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে যান। সেই সময় জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের বাড়িতে ছিলেন বড়ে গুলাম আলি খান। কিছুদিন বাদে বড়ে গুলাম আলি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে গানের তালিম দিতে সম্মতি জানান। সন্ধ্যার হাতে লাল সুতো বেঁধে মুখে তুলে দিয়েছিলেন গুড় আর ছোলা।