(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
South 24 Parganas:কাকদ্বীপে মৃত স্কুলছাত্রের বাড়িতে এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি-সহ বাম প্রতিনিধিদল
Kakdwip Student Death:কাকদ্বীপে মৃত স্কুলছাত্রের বাড়িতে এলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমানের নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব রাম দাস, মিত্যেন্দু ভুঁইয়া।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাকদ্বীপে (Kakdwip Student Death) মৃত স্কুলছাত্রের বাড়িতে এলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমানের নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সিপিএমের (CPM) জেলা নেতৃত্ব রাম দাস, মিত্যেন্দু ভুঁইয়া। বাম নেতৃত্বকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত ছাত্রের মা-বাবা। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও তদন্ত নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করা হয়।
কী বললেন বাম নেতৃত্ব?
গত কাল বাম নেতৃত্বের তরফে পরিবারকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়। আজই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হতে চলেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। গত ১৬ জুলাই দশম শ্রেণির ছাত্রের দেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। ২৭ জুলাই কাকদ্বীপের হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, ত্রিকোন প্রেমের জেরে মৃত ছাত্রকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে দুই প্রতিবেশী পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। হেনস্থার পাশাপাশি, একটি ভিডিও ভাইরাল করা হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মৃত ছাত্র অভিযুক্তদের পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইছে। এছাড়া মৃত ছাত্রকে বারে বারে হুমকির অভিযোগও উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।
যাদবপুর-কাণ্ডের তদন্ত কোথায়?
পুলিশের পর যাদবপুর ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটিও। এদিকে, যাদবপুরে সিসিক্যামেরা বসানো নিয়ে অব্যাহত ধোঁয়াশা। গত কাল ফের, ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই র্যাগিং-এর ধারা যুক্ত করেছিল পুলিশ। আর এবার জানা গেল, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে র্যাগিং কোনও নতুন ঘটনা নয়। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের বরাবরই র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয় সিনিয়রদের হাতে। সূত্রের খবর, একাধিক আবাসিক, কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাগিংয়ের তথ্য মিলেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সব জেনেশুনেও উদাসীন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পড়ুয়ার অকাল মৃত্যুর ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠছে, হস্টেলে সিসি ক্য়ামেরা কেন ছিল না? থাকলে তো সহজেই বোঝা যেত কী ঘটেছিল ৯ অগাস্ট রাতে! কিন্তু, তারপর ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, সেই সিসিক্য়ামেরা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। সিসিক্যামেরা বসানো নিয়ে যখন অব্যাহত ধোঁয়াশা তখন, বুধবার ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।