Siddiqullah Chowdhury: 'মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা আমার থেকে সভাপতি হওয়ার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছে..' ! উঠল খুনের হুমকিরও অভিযোগ
Accused Siddiqullah Chowdhury: অনুগামীদের দিয়ে তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, এই অভিযোগে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের এই নেত্রী

রানা দাস ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, মন্তেশ্বর: মন্তেশ্বরে পঞ্চায়েত সমিতির আরও এক সভাপতি মুখ খুললেন গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পদ পাইয়ে দিতে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন মন্ত্রী, অভিযোগ মেমারি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। অনুগামীদের দিয়ে তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, এই অভিযোগে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের এই নেত্রী। গোটা রাজ্যে তোলাবাজি চলছে, পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রী।
মন্তেশ্বর মেমারি (২) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেত্রী ও সভানেত্রী ময়না হালদার টুডু বলেন,মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আমার কাছ থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছে।প্রথমে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্থা-বিক্ষোভ-ঝাঁটা-জুতো দেখেছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী!এবার তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন!প্রথমে টাকা নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ পাইয়ে দেওয়া তারপর অনুগামীদের দিয়ে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে!
পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল পরিচালিত মেমারি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ময়না হালদার টুডু।ময়না হালদার টুডু বলেন, সভাপতি হওয়ার দেড় থেকে দু’ সপ্তাহ আগে ৩ খেপে টাকাটা আমার কাছে নিয়েছে। আমি সাতগাছিয়া MLA অফিসে দিয়েছি। আর নিজে গিয়ে আমি কলকাতা বাগরা অফিসে গিয়ে দিয়ে এসেছি। এখন মুখ খুলতে হচ্ছে এই কারণে, উনি (সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী) আমার সঙ্গে যে রকম ব্যবহার করছেন, আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে আমাকে কোনও কাজও করতে দিচ্ছে না।
খোদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূলেরই নেত্রী!ময়না হালদার টুডু বলেন, আমাকে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মার্ডার করার হুমকি দিয়েছে ওই ৭ জন যারা আছে তাদের মারফত। এটাও আমি বলছি, আমার জীবনের প্রচুর রিস্ক আছে। উনি (সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী) আমাকে যখন-তখন খুন করে দিতে পারে। পাল্টা মেমারির তৃণমূল নেত্রীকে চ্য়ালেঞ্জ করেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।কয়েকদিন তৃণমূলেরই একাংশের হাতে আক্রান্ত হন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি! গ্রন্থাগারমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, আমার ইজ্জত নিয়ে বারবার খেলা হলে, দল ছেড়ে দেব আমি। আমার ভবিষ্যৎ আমি বুঝে নেব, কী হবে না হবে।
এখন অবশ্য় তাঁর সুর নরম।সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, মন্তেশ্বরের ব্যাপারে আমি একটা ছবি...মানে দুর্বৃত্তায়নের ছবি, তোলাবাজদের ছবি তুলে ধরেছি এবং মুখ্যমন্ত্রী এটা আশ্বস্ত করেছেন, এই তোলাবাজি আমি চলতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী তো এরপরে নিশ্চয়ই রিপোর্ট চাইবেন যে, কারা তোলাবাজ, কারা গুন্ডাবাজ। সে দায়িত্ব তো সরকারের, সে দায়িত্ব প্রশাসনের। দলেরই একাংশ বারবার নিশানা করছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে।বিধানসভা ভোটের মুখে যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তির।


















