Sikkim Flash Flood : মৃতের সংখ্যা বাড়ছে রোজই, তিস্তার জলে বাংলায় ভেসে এল আরও ২৬টি মৃতদেহ
Sikkim Flash Flood: গাছের ওপর উঠে গিয়েছে স্কুল বাস। ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার ছবি চারিদিকে স্পষ্ট। দুঃস্বপ্নের ঘোর কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না।
সন্দীপ সরকার, সিকিম: সিকিমে ( Sikkim Flash Flood ) মেঘভাঙা বৃষ্টি ( Cloud Burst ) -বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা রোজই বাড়ছে হু হু করে। তিস্তার জলে বাংলায় ভেসে এল আরও ২৬টি মৃতদেহ। এঁদের মধ্যে ৭ জওয়ানও রয়েছেন।
সিকিমের বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ শতাধিক। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে বিপর্যস্ত এলাকায় আটকে রয়েছেন প্রায় ৭ হাজার পর্যটক। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমের ( Flash floods in Sikkim ) সিংথাম এলাকা। খরস্রোতা তিস্তা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন। গিলে খেয়েছে সেতু। সিংথামে ইস্ট পয়েন্ট হাইস্কুলের নিচের তলার পুরোটাই কাদায় ডুবে গেছে। গাছের ওপর উঠে গিয়েছে স্কুল বাস। ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার ছবি চারিদিকে স্পষ্ট। দুঃস্বপ্নের ঘোর কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না।
খেলনা গাড়ির মতো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সেবক-রংপো রেললাইন তৈরির কাজে ব্যবহৃত পে লোডার, ক্রেন সব কিছু । সিংথামে তিস্তা পাড়ে একটি বাড়িও আস্ত নেই। এর মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। প্রাণপণে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। যে তিস্তার পাড় বহু পর্যটকের কাছেই শান্ত পাহাড়ি গ্রামে শান্তির ঠিকানা, সেই তিস্তাই এখন ভয়ঙ্করী।
নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে বাংলা থেকে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে যাওয়া যুবকের প্রাণ। তরতাজা যুবকের দেহ ঘরে ফিরেছে কফিনবন্দি হয়ে। কালচিনির বাড়িতে ফিরেছে সিকিমে বিপর্যয়ে মৃত জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। জুলু থেকে ফেরার পথে সিকিমের বারদাংয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। তখনই আচমকা হড়পা বানে সব শেষ হয়ে যায়। শুক্রবার বাড়িতে ফিরল সেনা জওয়ানের নিথর দেহ। গান স্যালুটের মাধ্যমে জানানো হল শেষ শ্রদ্ধা। মৃত্যু হয়েছে বীরভূমের বাসিন্দা এক জওয়ানের। সিকিমের হরভজন সিং মন্দিরে কাজ সেরে বিন্নাগুড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যান ময়ূরেশ্বরের বাসিন্দা গোপাল মাড্ডি। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবারের পর থেকে, প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি কলকাতার অনেক পরিবার।
এরই মধ্যে সিকিমের মঙ্গন জেলায় আগামী ৪-৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জানানো হয়েছে যে, উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেন মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। শুক্রবার আবহাওয়া খারাপ থাকায়, দুর্গত এলাকা থেকে কাউকে এয়ারলিফট্ করা সম্ভব হয়নি। শনিবার আবহাওয়া ভাল থাকলে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
আরও পড়ুন :