SIR West Bengal: অনুপ্রবেশকারী হয়েও পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-রেশন! SIR- আবহে এবার ভারত ছাড়ার হিড়িক বাংলাদেশীর
ভারতে চলছে SIR, বাংলাদেশ পালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা, এর মধ্যেই সামনে এল উদ্বেগজনক তথ্য। অনুপ্রবেশকারীদের কারও হাতে ভারতের ভোটার কার্ড, কারও হাতে আধার কার্ড!

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অনুপ্রবেশকারীদের কারও হাতে ভারতের ভোটার কার্ড, কারও হাতে আধার কার্ড! কেউ দীর্ঘদিন রেশন তুলেছেন, কেউ ২-৩ বার এখানে ভোটও দিয়েছেন। এবার সামনে এল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার কথা। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্তে সামনে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। স্বরূপনগর সীমান্তে এই বাংলাদেশিদের অনেকে যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন বলে জানাচ্ছেন, তেমন অনেক বাংলাদেশি আবার আয়ুষ্মান ভারতের কার্ডও বানিয়ে ফেলেছিলেন।
সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ভিড় বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্তে। ভারতে চলছে SIR, বাংলাদেশ পালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশি নাগরিক হলেও এদের মধ্যে কারও 'আধার কার্ড' আছে কারও 'ভোটার কার্ড', কেউ আবার নিজেই স্বীকার করছেন 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' পেতেন
যেমন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা বাসিন্দা রোকেয়া বিবি। বাংলাদেশের নাগরিক, তবে ভোট দিতেন ভারতে। জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় ভারতে এসেছিলেন। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে থাকতেন। কাগজকুডুনির কাজ করতেন। এবিপি আনন্দকে জানালেন ৩-৪ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছেন। এমনকী ভোটও দিয়েছেন।
SIR শুরু হওয়ার পর রোকেয়া বিবির মতো অনেকেই এখন ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন। সোম, মঙ্গলের পর বুধেও একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুর চেকপোস্টে। বাংলাদেশের সাতক্ষিরার বাসিন্দা আনোয়ারা বিবি যেমন স্বীকার করলেন ভারতে ভোট দিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'আমরা এখানে থাকব বলেই এখানে সব করে দিল। এখন আমরা থাকতে পারছি না এখন আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে বলে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছি।'
এখন প্রশ্ন উঠছে, এরা সীমান্ত পেরিয়ে এপাড়ে এলেন কীকরে? এখানে ঘাঁটি গেড়ে এতদিন থাকলেন কীকরে? সেই দায় কার? তা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই।
এখানেই শেষ নয়... বাংলাদেশের নাগরিক, এদেশে এসে এই রাজ্যের সরকারি পরীক্ষাতেও বসেছেন, এমন নজিরও ছিল FRRO-র চিঠিতে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, দেশের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথাও জানায় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস।
অন্যদিকে, রাজ্যে SIR চলাকালীন মধ্যমগ্রামে ফাঁকা ঝুপড়ি ঘর। মধ্যমগ্রামের বিশ্বাসপাড়ায় বহু ঝুপড়ি ঘরে ঝুলছে তালা। বেশিরভাগই বাংলাদেশি বলে ভয়ে পালিয়েছে, দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। SIR-প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে এই বাংলাদেশিরাই ফের সীমান্ত টপকে আসার চেষ্টা করবে না তো? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।






















