South 24 Paraganas: নৌকায় আচমকা বাঘের হানা, মৃত্যু হল কুলতলির মৎসজীবীর
South 24 Paraganas: সোমবার দুপুরে হঠাৎ বাঘ হানা দেয় তাঁদের নৌকায়। বাঘ এসে নৌকাতে শঙ্কর সরদারের উপর আক্রমণ করে। তাঁর সঙ্গীরা চিৎকার শুরু করলে বাঘ জঙ্গলে ফিরে যায়।
সুকান্ত দাস, কুলতলি (দক্ষিণ ২৪ পরগণা): আবারও বাঘের হানা। এবার বাঘের আক্রমণে (Tiger attack) গুরুতরভাবে জখম হন কুলতলির (Kultali) এক মৎসজীবী (Fisherman)। অবস্থার অবনতি হতে হতে শেষ পর্যন্ত থেমে যায় লড়াই। মারা গেলেন আহত মৎসজীবী।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির দেউলবাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর সরদার। বছর ৩৫-এর ওই মৎসজীবী তাঁর তিন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবার সুন্দরবনের বেনিফেলি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যান। গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরে হঠাৎ বাঘ হানা দেয় তাঁদের নৌকায়। বাঘ এসে নৌকাতে শঙ্কর সরদারের উপর আক্রমণ করে। তাঁর সঙ্গীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করলে বাঘ জঙ্গলে ফিরে যায়। আহত অবস্থায় গতকাল রাতেই জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শঙ্করবাবুকে। এরপর সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতরাতেই কলকাতা নিয়ে আসা হয় তাঁকে। কিন্তু অবশেষে থেমে গেল সমস্ত লড়াই। বাঁচানো গেল না বাঘের আক্রমণে আহত কুলতলির মৎসজীবীকে।
কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) শালবনিতে পশুর আতঙ্ক (Unknown Animal Threat) ছড়িয়ে পড়ে। জামবনিতে বাঘের আতঙ্ক দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা একটি বাঘের (Tiger) মতো জন্তু দেখেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুরের ডিএফও।
শালবনিতে কি ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘ? ফের নতুন করে দানা বাঁধছে আতঙ্ক! সপ্তাহ দুয়েক ধরে শালবনির বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে জন্তুর পায়ের ছাপ। যা ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের। শালবনির জামবনি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, গত শুক্রবার বিকেলে ফের তাঁরা বড় একটি জন্তু দেখেছেন। জন্তুটি বাঘের মতো দেখতে বলে বাসিন্দাদের দাবি।
শালবনির জামবনি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ণিমা মাল। তাঁর কথায়, 'আমি বড় একটি জন্তু দেখেছি।' পূর্ণিমা দেবীর দেখা জন্তুটি বাঘের মতো বলেই দাবি করছেন তিনি। বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দারা গবাদি পশু বাইরে নিয়ে যাওয়ার সাহস করছেন না।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে শিল্পের জমিতে মাছের ভেড়ি, বিরোধিতায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সিপিএমের কৃষক সংগঠনের
কয়েক দিন আগেই কোনাবালির জঙ্গলে একটি ছাগলের আধখাওয়া মৃতদেহ মিলেছে। জামবনির বাসিন্দা সীতারাম মালের কথায় এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে।