South 24 Pargana: সাগরে বাঁধ দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে অগ্নিমিত্রা পাল
Sagar Island: দিন আগেই সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঁধের অবস্থা দেখতে গিয়ে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাগরে, গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে ঘিরে স্লোগান করলেন বিক্ষোভকারীরা। অগ্নিমিত্রা পালকে কালো পতাকা দেখানো হয়। কদিন আগেই সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। এদিনের ঘটনায় পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেত্রী। বুধবার দুপুরের ঘটনা।
এদিন পরিদর্শনে গিয়ে অগ্নিমিত্রা পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়দের একাংশ। কালো পতাকা দেখাতেই পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, অবস্থা সামলাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে তৃণমূল কর্মীদের।
কী অভিযোগ:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে, এই এলাকায় ভেঙে গিয়েছে মাটির বাঁধ। তারপর আর স্থায়ী বাঁধ তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ভরা কটালে নদী ফুঁসে উঠলেই বিপদে পড়েন গ্রাসবাসীরা। ভরা কটালে হুহু করে গ্রামে ঢোকের নদীর জল। গত শুক্রবারই, পূর্ণিমার ভরা কটালে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। যার ফলে বাড়িছাড়া হন বহু মানুষ।
গত শুক্রবার, বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বুধবার অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে গেলে, বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এদিন গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকাবাসীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, 'আমরা যখন জলে পড়েছিলাম, তখন কেন এল না? স্থানীয় বিজেপির কেউ আসেনি। আমরা চাই পাকাপোক্ত বাঁধ।' বিক্ষোভে ছিলেন তৃণমূল কর্মীরাও! নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও। ধসপাড়া সুমতিনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান বিপিন পড়ুয়া বলেন, 'বিজেপি কখনওই আসেনি। আজ এসেছে। তাই বিক্ষোভ। বাঁধ করার দাবি।'
বিজেপির কটাক্ষ:
স্থায়ী নদী-বাঁধের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'এখানে লক্ষ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়। মাটির বাঁধ কেন হয়েছে? কংক্রিটের কেন হয়নি? সব টাকা কি তৃণমূলের কাছে যাচ্ছে।'
প্রতি বর্ষায়, ভরা কটালে বাঁধ তৈরি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলে। কিন্তু বাঁধ-সমস্যার সমাধান হবে কবে? উত্তর খুঁজছেন বাসিন্দারা।