Bhangar News: ISF থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় যুবককে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় কে ?
Bhangar ISF TMC: সম্প্রতি ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের পাড়া থেকেই তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী। আর এবার আইএসএফ থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় যুবককে বেধড়ক মার।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সম্প্রতি ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের (TMC Leader Arabul Islam) পাড়া থেকেই তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফ-এ (ISF) যোগ দিয়েছিলেন প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। আর এবার আইএসএফ (ISF) থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এবার এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের জিরানগাছা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, আহত তৃণমূল কর্মীর নাম আকরাম মোল্লা। আকরাম কদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিল। যোগদানের পর থেকে আকরামের উপর মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে আকরামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান তৃণমূল নেতৃত্ব। আহত আকরাম জিরানগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাইক বাহিনী এসে আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ আইএসএফ কর্মী ঘটনায় আহত। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য।
সম্প্রতি আইএসএফ নেতা রাইনুর হকের হাত ধরে আইএসএফে যোগ দেয় তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও কোনওরকম সহযোগিতা পায়নি, সেই অভিযোগ করে তৃণমূল ছাড়ল পোলেরহাট ২ অঞ্চলের ৯৬ নং বুথের প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী।আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, 'বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আইএসএফে যোগ দিয়েছে। তাঁদেরকে আমরা স্বাগত জানালাম।' আইএসএফে যোগ দিয়েই ৯৬ বুথের বুথ সভাপতি হলেন আখতার মোল্লা। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে শাসকদলে একাধিকবার ভাঙনের ছবি প্রকাশ্য়ে এসেছে। তার মধ্যে মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলাও রয়েছে।
চলতি মাসেই পূর্ব মেদিনীপুরে ভাঙনের ছবি প্রকাশ্যে আসে ঘাসফুল শিবিরে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল একাধিক ব্যক্তি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবাগোলা গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল ইয়াসিন মল্লিক, শেখ মৈজ্জুদিন ও শেখ আলফাজুদ্দিন- সহ কয়েকশো মানুষ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। কসবাগোলাতে তাঁদের দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্র। তিনি বলেছিলেন, 'অন্য দল থেকে শতাধিক কর্মী স্বেচ্ছায় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেছে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসবে শয়ে শয়ে মানুষ তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করবেন।'
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মালদাতেও তৃণমূলে ভাঙন ধরা পড়েছিল সম্প্রতি। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন রতুয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ টিপু সুলতান, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের চার তৃণমূল সদস্য, জেলা নেতা প্রদীপ সাহা-সহ কয়েকশো কর্মী। মহম্মদ টিপু সুলতানের বক্তব্য, 'চেয়ারম্যান ও সভাপতি পুরনোদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হচ্ছে। তাই কংগ্রেসে যোগদান করলাম।'