School Teacher Crisis: একই স্কুলে চাকরিহারা ৭ জন, বিপাকে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
South 24 Parganas: মহেশতলার চট্টা কালিকাপুর সুবিদালি গার্লস হাইস্কুলে স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে অনিশ্চয়তার ছায়া। এই স্কুলে ২৮ জনের মধ্যে ৭ জন শিক্ষিকা চাকরিহারা হয়েছেন।

গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুপ্রিম রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। আর তারপরেই জেলায় জেলায় স্কুলগুলিতে (School Teacher Crisis) শিক্ষক সংকট দেখা গিয়েছে। যাতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা। শিক্ষক সংকটের একইছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়।
বিপাকে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা: মহেশতলার চট্টা কালিকাপুর সুবিদালি গার্লস হাইস্কুলে স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে অনিশ্চয়তার ছায়া। এই স্কুলে ২৮ জনের মধ্যে ৭ জন শিক্ষিকা চাকরিহারা হয়েছেন। চাকরিহারা শিক্ষিকারা প্রথম দিন থেকে স্কুলে আসছেন না। এই চাকরিহারাদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক এক মাত্র বা ২ জন শিক্ষিকা চাকরিহারা হওয়ায় ক্লাস বন্ধ হতে বসেছে। যেমন এই স্কুলে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের এক মাত্র শিক্ষিকা চাকরিহারা হওয়ায় উচ্চমাধ্যমিকে এই বিষয়ের পড়ানোর কেউ নেই। আবার নবম, দশমে ২ জন গণিতের শিক্ষিকা ও একজন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা চাকরিহারা হয়েছেন। নবম, দশমে এই বিষয়ে পড়ানোর শিক্ষিকা আর নেই। এই স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১৮০০ ছাত্রী। সবমিলিয়ে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শেষে সব বিষয়ের শিক্ষিকাই নেই স্কুলে। চট্টা কালিকাপুর সুবিদ আলি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা বসু বলেন, "৭ জন শিক্ষিকা চলে গেছে, তারা আসছেও না। পরীক্ষা চলছে, প্রথম সামিট পরীক্ষা চলছে। সেখানে আমাদের একটা বিশাল ঘাটতি। ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।''
সুন্দরবন জনকল্যাণ সঙ্ঘ বিদ্যানিকেতনের পড়ুয়া সংখ্যা ১ হাজার ৪০০। শিক্ষক ছিলেন ২৩ জন, চাকরি হারিয়েছেন ১১ জন। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের উদ্দেশে ভলান্টারি সার্ভিসের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভলান্টারি সার্ভিস নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যোগ্য় চাকরিহারারা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বৃহস্পতিবার স্কুলে আসেননি চাকরিহারা ১১ জ শিক্ষকের ৯জন। ২ জন চাকরি হারিয়েও স্কুলে আসছেন। ক্লাস করছেন। চাকরিহারা ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক বলছেন, "এটা তো আমার বহুদিনের অভ্যাসই বলা যেতে পারে এক প্রকার। ভাল লাগা ভালবাসা, সবকিছুই এক ধরনের। আর অফিসায়ালি দেখতে গেলে এখনও টারমিনেশন লেটার আসেনি। যেহেতু টারমিনেশন লেটার এখনও আসেনি, স্কুলে আসা আমার মনে হয় - উচিত।''
পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। ভরসা বৃত্তিমূলক শাখার শিক্ষক ও আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক মণ্ডল বলেন, "ফিজিক্সের টিচার একজন, কেমিস্ট্রির টিচার একজন, তাঁরা রোজ আসছেন, স্কুলকে ভালবেসে আসছেন। স্কুলের যাবতীয় কাজকর্ম করছেন। এই সমস্যাটা মিটছে আমাদের বৃত্তিমূলক বিভাগে আমাদের কিছু দক্ষ শিক্ষক আছেন, যাঁদের সার্ভিসটা নিতাম না, তাঁদেরকে এখন পুরোমাত্রায় লাগাচ্ছি।''






















