Waqf Law Protest: সুতিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, সতর্ক করতে এলাকায় প্রচার; ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার
Waqf Law 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বুধবার তুলকালাম বাধল মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নিমতিতা, জঙ্গিপুরের পর এবার সুতির আহিরণ।

রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: সোমবার নিমতিতা স্টেশনে অবরোধ, মঙ্গলবার জঙ্গিপুরে ধুন্ধুমারের পর এবার সুতির (Waqf Law Protest) আহিরণে অশান্তি ছড়াল। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে।
সুতির আহিরণে অশান্তি: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বুধবার তুলকালাম বাধল মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নিমতিতা, জঙ্গিপুরের পর এবার সুতির আহিরণ। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পরপর ইট ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। জমায়েত হঠাতে তেড়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চলে লাঠিচার্জ। এলাকায় বসানো হয় পুলিশ পিকেট। সতর্ক করতে চলে প্রচার। পুলিশের তরফে প্রচারে বলা হয়, "আপনারা দয়া করে যে যার বাড়ি চলে যান। কারণ এলাকায় ১৪৪ জারি করা আছে। একসঙ্গে ৫জন বা তার বেশি কেউ দাঁড়াবেন না বা জমায়েত করবেন না। যদি এর বেশি জমায়েত করেন পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে।'' জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, "পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। শান্তিপূর্ণ আছে।''
টানা ১৩ ঘণ্টা বিতর্ক এবং ভোটাভুটির পরে গত বুধবার মধ্যরাতের পর লোকসভায় পাস হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫। সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর সই করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আইনে পরিণত হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে সার্বিক ভাবে মুসলিমদের উন্নতি হবে। ক্ষমতায়ন হবে মুসলিম মহিলাদের। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, এর আইন ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতাকে খর্ব করে মুসলিমদের অধিকার হরণ করবে। এই আবহে গতকাল জঙ্গিপুরে অশান্তির প্রেক্ষিতে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ও সুতি থানা এলাকায়, মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা থেকে, ৪৮ ঘণ্টার জন্য় BNS-এর ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। জঙ্গিপুর মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় যখন জঙ্গিপুর জ্বলছে, তখন পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুসলিমরা। ইমরান হকের দোকানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ব্যবসায়ীর দাবি, হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষা চান উর্দিধারীরা। দোকানের শাটার নামাতে অনুরোধ করেন তাঁরা। উন্মত্ত জনতা দোকানে চড়াও হলেও পুলিশ কর্মীদের প্রাণরক্ষার জন্য শাটার খোলেননি ব্যবসায়ী। তার জেরে তাঁর দোকানেও ভাঙচুর চলে।






















