Raidighi News: নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবী, প্রশাসনের সহায়তায় শুরু উদ্ধারকার্য

South 24 parganas News: সোমবার কঙ্কণদিঘিতে মণি নদীতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের একটি দল।

এই নদীতেই মাছ ধরতে গিয়েই বিপত্তি।

জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাছ ধরতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে (Fisherman Missing)। নদীতেও তাঁকে নামতে দেখেছিলেন সতীর্থরা। কিন্তু নদী থেকে তাঁকে উঠে আসতে দেখা যায়নি। রায়দিঘিতে মাছ ধরতে এ ভাবেই এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তি

দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas News) রায়দিঘিতে (Raidighi News) রায়দিঘি থানার অন্তর্গত কঙ্কণ দীঘি এলাকার ঘটনা। প্রশাসনকে ওই মৎস্যজীবীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রশাসন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সেই মতো নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে সেখানে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কঙ্কণদিঘিতে মণি নদীতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের একটি দল। তাতে শামিল ছিলেন অসিত সর্দার নামের নিখোঁজ ওই ব্য়ক্তিও। মাছ ধরা সেরে বিকেলে বাকিরা নদী থেকে উঠে আসেন। কিন্তু অসিতের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

বেশ খানিক ক্ষণ পরেও অসিতের দেখা না মেলায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন সকলে।  বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় প্রশাসনকেও। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় গ্রামবাসী এবং প্রশাসনের লোকজন মিলে একযোগে তল্লাশি অভিযানে নামেন। 

প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়দের ধারণা, পূর্ণিমার ভরা কটালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সকলে। কোনও ভাবে জলের টানে তলিয়ে গিয়ে থাকবেন অসিত। ওই মৎস্যজীবীর পরিবার তো বটেই এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। 

শুরু উদ্ধারকার্য

অন্য দিকে, সোমবার রাতে বীরভূমের ময়ূরেস্বরে এক মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।  মৃত মহিলার নাম সুন্দরী বাগদি। বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। উলকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বহড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সোমবার বাড়িতে ছিলেন না তাঁর ছেলে উজ্জ্বল বাগদি। বাড়ি ফিরে রাতে ঘরের মধ্যে তাঁর নিথর দেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছেন তিনি। 

মহিলার ছেলে উজ্জ্বল জানিয়েছেন, সোমবার রাতে পাশের গ্রামে ধর্মরাজ পুজো উপলক্ষে আয়োজিত বাউল গান শুনতে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরেন রাত দেড়টা নাগাদ। তখনই শোওয়ার ঘরে বিছানার উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন মায়ের দেহ। মায়ের নিথর দেহে কোনও জামাকাপড় ছিল না, শুধু গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।