(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Balurghat News: মাছে-পান্তায় খাতির মেয়েকে, বালুরঘাটের পালবাড়িতে উমার আরাধনা, পুজোর বয়স ৩৫০ বছর
South Dinajpur: নবমীতে মাছের ভোগ দিয়ে উমাকে বিদায় জানানোর চল রয়েছে পাল বাড়ির পুজোয়। সেই মতো আত্রাই নদী থেকে তোলা হয় রাইখোর এবং বোয়াল মাছ।
মুন্না আগরওয়াল ,বালুরঘাট: বাংলায় যদি বারো মাসে তেরো পার্বণ থেকে লেগে থাকে, তাহলে প্রতি পার্বণ পিছু রয়েছে অজস্র লোককথাও। বাঙালির প্রিয় উৎসব নিয়েও লোককথার কমতি নেই (Durga Puja 2022)। আর সেই সঙ্গে এক এক জায়গায় দেবীবন্দনার রীতিও এক এক রকম। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বালুরঘাটের (Balurghat) একটি পুজো এমনই। সেখানে নদীর মাছ, পান্তা ভাতই মায়ের ভোগ। যুগ যুগ ধরে এমনই চলে আসছে।
পালবাড়ির পুজোর বয়স ৩৫০ বছর
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ঐতিহ্যের তালিকায় অনায়াসে ঢুকে পড়ে গৌরী পাল বাড়ির দুর্গাপুজো। দশ-বিশ বছর নয়, পাল বাড়ির গৌরী পুজোর ঐতিহ্য ৩৫০ বছর পুরনো। এখানে ঘরের মেয়ে হিসেবে উমার আরাধনা হয়। ঘরের মেয়েকে নিবেদন করা হয় আত্রাই নদীর তাজা মাছ। হাত পেতে সেই ভোগ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে লাইন দেন।
নবমীতে মাছের ভোগ দিয়ে উমাকে বিদায় জানানোর চল রয়েছে পাল বাড়ির পুজোয়। সেই মতো আত্রাই নদী থেকে তোলা হয় রাইখোর এবং বোয়াল মাছ। সঙ্গে জল ঢালা ভাত, পান্তার আকারে মায়ের চরণে নিবেদন করা হয়। সেটিই আবার ভোগ হিসেবে বিতরণ করা হয় দর্শনার্থীদের মধ্য়ে।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro Puja Timings: পুজোর ৩ দিন রাতভর মেট্রো, কবে-কতক্ষণ মিলবে?
এই মাছ-পান্তা ভোগের স্বাদ পেতে প্রতি বছর স্থানীয় মানুষ তো বটেই, বহু দূর থেকেও প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে পাল বাড়ির পূজো প্রাঙ্গনে। গৌরী পাল বাড়ি পুজো কমিটি জানিয়েছে, আজও পূর্ব পুরুষদের আমলের রীতি চালু রয়েছে। দশমীতে পুজো মণ্ডপে ৫০০ থেকে ১০০০ ভক্তের সমাগম ঘটে। সকলের হাতেই তুলে দেওয়া হয় প্রসাদ। এি রীতি পালনের পরই বিদায় জানানো হয় মাকে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পারিবারিক প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বালুরঘাট কংগ্রেস পাড়ার পাল বাড়ির পুজোটি। পাল বাড়ির নিজস্ব এই পুজোটি এখন স্থানীয়দের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, অর্থাৎ সর্বজনীন পুজোই। তবে বালুরঘাট শহরের আত্রাই নদীর পাশে নিজের বাড়িতেই এই পুজা শুরু করেছিলেন গৌরী পাল।
বাড়ির পুজো সময়ের প্রলেপে এখন সর্বজনীন
এক সময় বালুরঘাটের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন গৌরী পাল। তিনিই প্রথম এই দুর্গা পুজোর প্রচলন করেন। খড় এবং বাঁশের তৈরি মন্দিরে অধিষ্ঠিত দেবীর পুজো শুরু হয়েছিল প্রথমাবস্থায়। গৌরী পাল এবং তাঁর উত্তরসূরীদের অবর্তমানে প্রায় ৮০ বছর আগে পাল বাড়ির দুর্গাপুজো পরিচালনার দায়িত্ব নেন প্রতিবেশি এবং স্থানীয়রা। সেই থেকে এই পুজো চলে আসছে। তবে নাম রয়ে গিয়েছে পাল বাড়ির দুর্গাপুজোই।