Partha Chatterjee: পার্থ হাজিরা এড়ালেও আদালতে দেখা গেল অর্পিতাকে, বেরনোর সময় বললেন…
Arpita Mukherjee: নিয়োগ দুর্নীতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলার শুনানি চলছে ব্য়াঙ্কশাল কোর্টে।

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: জামিন পেয়েও আদালতে হাজিরা দেননি। সেই নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ভর্ৎসনা করেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। শুনানিতে হাজির না থাকলে উচ্চ আদালতে পাওয়া জামিন বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারক। তবে পার্থ আদালতে না গেলেও, বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির ছিলেন তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নাগাল পেতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। দুই সপ্তাহ পর সেই নিয়ে শুনানি হবে। (Arpita Mukherjee)
নিয়োগ দুর্নীতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলার শুনানি চলছে ব্য়াঙ্কশাল কোর্টে। বুধবার সশরীরে সেখানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল পার্থর। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তিনি আদালতে হাজিরা দেবেন বলেই আশা ছিল সকলের। কিন্তু শুনানি শুরু হওয়ার পর দেখা যায় তিনি আসেননি। পার্থর আইনজীবী জানান, স্বাস্থ্যজনিত কারণেই শুনানিতে অনুপস্থিত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও আদালত তিরস্কার ছুড়ে দিয়েছে। উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া মানেই বাড়িতে বসে থাকা নয়, হাজিরা না দিলে নিম্ন আদালত জামি বাতিল করে দিতে পারে বলে জানান তিনি। (Partha Chatterjee)
সেই নিয়ে চর্চার মধ্যেই অর্পিতার দিকে নজর যায় সকলের। এদিন আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ED তাঁর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। সেগুলি খুলে দেওয়ার আর্জি নিয়ে আদালতে যান অর্পিতা। জানান, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর তিনটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ED. অর্পিতার আইনজীবী জানান, তদন্তের জন্য ওই তিনটি ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজনই নেই। কারণ সেগুলি তদন্তপ্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনও ভাবেই সংযুক্ত নয়।
ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে চান অর্পিতা। তাই আদালতকে সেই মর্মে নির্দেশ দিতে আবেদন জানান। অন্য দিকে, ED জানায় এব্যাপারে আপত্তি রয়েছে তাদের। ED-কে লিখিত আকারে আপত্তি জানাতে বলে আদালত। এ নিয়ে দুই সপ্তাহ পর শুনানি হবে। যদিও আদালত থেকে বেরনোর সময় অর্পিতা বলেন, "তিনটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য বলিনি। ২০০২ সাল থেকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেটি খুলে দেওয়ার জন্য বলেছি। ৮ তারিখে ডেট দিয়েছেন। তার পর জানব। ED যেভাবে মনে করেছেন, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছেন। কিন্তু ২০০২ সালের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিয়োগের কোনও যোগ নেই। ইন ফ্যাক্ট তখন তো আমার কেরিয়ার সবে শুরু হয়েছে!"
পার্থর ব্যাপারে এদিন কোনও মন্তব্য করেননি অর্পিতা। তবে জেলমুক্তির পর তাঁকে নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্যই করেন পার্থ। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে পার্থ অর্পিতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা মেনে নেন। তাঁর যুক্তি ছিল, অন্য নেতাদের স্ত্রী ও বান্ধুবী দুই-ই থাকে। তাঁর স্ত্রী নেই যখন, বান্ধবী কেন থাকতে পারে না? তবে জেলমুক্তির পর অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান পার্থ। অর্পিতার বাড়ি থেকে যে টাকার পাহাড় ও গয়না উদ্ধার হয়েছিল, তারও দায় নেননি তিনি। যাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তিনিই জবাব দেবেন বলে জানিয়ে দেন পার্থ।























