SSC Case: পঞ্চায়েতে কর্মসূত্রে পরিচয়, চাকরিও ছাড়েন পর পর, অয়ন কি শুধুই শ্বেতার পরিচিত!
Shweta Chakraborty: নেহাত পরিচিতি নয়, শ্বেতা এবং অয়নের মধ্যে যোগাযোগ দীর্ঘ দিনেরই, অন্তত তাঁদের এককালের সতীর্থরা তেমনই জানাচ্ছেন।
কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়, সোমা চক্রবর্তীর পর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলোচনার কেন্দ্রে আরও এক নারীচরিত্র। তিনি শ্বেতা চক্রবর্তী (Shweta Chakraborty)। হুগলির তৃণমূল নেতা, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sheel) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্বেতা। অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ দফায় শ্বেতার অ্যাকাুন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাই শ্বেতার সঙ্গে অয়নের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও শ্বেতা নিজে অয়নকে পরিচিতর গণ্ডিতেই রেখেছেন (SSC Case)।
একসময় পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কাজ করতেন অয়ন এবং শ্বেতা
কিন্তু নেহাত পরিচিতি নয়, শ্বেতা এবং অয়নের মধ্যে যোগাযোগ দীর্ঘ দিনেরই, অন্তত তাঁদের এককালের সতীর্থরা তেমনই জানাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, শ্বেতা এবং অয়ন পরস্পরকে বেশ কয়েক বছর ধরেই চেনেন। একসময় হুগলির বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কাজ করতেন অয়ন এবং শ্বেতা।
ওই পঞ্চায়েত সূত্রে দাবি, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে স্কিল টেকনিক্যাল পার্সন হিসাবে কাজ করতেন নৈহাটির শ্বেতা। আর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকরি করতেন অয়ন। ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অয়নের গাড়িতে যাতায়াত করতেন শ্বেতা। অয়ন অফিসে অনিয়মিত ছিলেন। তাতে পঞ্চায়েতের কাজে নানা সমস্যা হতো। এমনই হয়েছে, দিনের পর দিন অফিসে না গিয়েও বেতন তুলেছেন অয়ন। বিষয়টি নিয়ে বলাগড়ের বিডিও-কে চিঠিও দেওয়া হয়। আবেদন জানানো হয় অয়নকে সরানোর জন্য। তাতে বিডিও অয়নকে শোকজ-ও করেন।"
আরও পড়ুন: Cattle Scam: গরুপাচার মামলায় এবার আসানসোল জেল সুপারকে ED-র নোটিস
ওই পঞ্চায়েত সূত্রে দাবি, ২০১৮ সালে শ্বেতাকে সোমরা বাজার পঞ্চায়েতে বদলি করা হয়। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে, চাকরি ছেড়ে দেন শ্বেতা।
তার পরও ডুমুরদহ পঞ্চায়েতে কাজ করেছেন অয়ন। ২০২০ সালে চাকরি ছাড়েন তিনিও।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ দফায় শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। শ্বেতাকে অয়ন হন্ডা সিটি গাড়ি কিনতেও টাকা দিয়েছিলেন বলে খবর। যদিও এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শ্বেতা জানিয়েছেন, অয়নের থেকে ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। কিন্তু রেজিস্ট্রি করাননি। তাতেই টাকা ফেরত দেন অয়ন। ফ্ল্যাটের এগ্রিমেন্টও রয়েছে। দেখাতে পারেন চাওয়া হলে। কাজ করতে গিয়ে ২০১৭ নাগাদ অয়নের সঙ্গে পরিচয় হয় বলেও জানান শ্বেতা।
শ্বেতার মাধ্যমে কি বিপুল পরিমাণ টাকা অন্য কোথাও পৌঁছে যেত! উঠছে প্রশ্ন
গাড়ির প্রসঙ্গে আবার দু'রকম কথা শোনা গিয়েছে শ্বেতার মুখে। প্রথমে তিনি দাবি করেন, এই গাড়ি তিনি পেয়েছিলেন পারিশ্রমিক হিসেবে। যদিও, পর মুহূর্তেই তিনি আবার দাবি করেন, অয়ন তাঁকে গাড়িটি ব্য়বহার করতে দিয়েছিলেন। তাতেই আরও সন্দেহ উদ্রেক করছে তদন্তকারীদের মনে। টাকার বিনিময়ে অয়নের হয়ে কি কোনও কাজ করে দিয়েছিলেন শ্বেতা? শ্বেতার মাধ্যমে কি বিপুল পরিমাণ টাকা অন্য কোথাও পৌঁছে যেত? উঠছে প্রশ্ন।