Partha Chatterjee: ইডি-র পর এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, হেফাজতে কল্যাণময়ও
Kalyanmoy Gangopadhyay:এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত প্রাক্তন মন্ত্রী ও কল্যাণময়ের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ইডি-র পর এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্থ-কল্যাণময়ের সিবিআই হেফাজত। আদালতে খারিজ হয়ে গেল জামিনের আর্জি, সিবিআই হেফাজতে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত হয়েছে।
সিবিআইয়ের সওয়াল:
এ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে দাবি সিবিআইয়ের আইনজীবীর। |'এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি বড়সড় ষড়যন্ত্র, মাস্টারমাইন্ড পার্থ-কল্যাণময়', জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
সূত্রের খবর, এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, 'আরও অনেক বড় অফিসার কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ৪০০ অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে, নিয়ম মানা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেকে জড়িত, খুঁজে বার করতে হবে।'
আদালতে কী বললেন পার্থ:
আদালতে নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরিবার এবং নিজের শিক্ষাযোগ্যতার প্রসঙ্গও তুললেন। তিনি বলেন, 'ইডি দু'মাস ধরে জেলে রেখেছে, আমি অসুস্থ, ২৮টি ওষুধ খাই। এসএসসি প্রাথমিক বোর্ড কমিটি স্বশাসিত, আমার কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। মন্ত্রী হিসেবে আমি দেখতাম না। আমি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, এমবিএ, ডক্টরেট, পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত।'
অভিযোগ অস্বীকার কল্যাণময়ের:
নিজে কোনও নিয়োগপত্রে সই করেননি বলে দাবি করেছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'স্ক্যান করা সই ব্যবহার করা হয়েছে, নিজে কোনও নিয়োগপত্রে সই করিনি'। নিয়োগপত্র দিত স্কুল সার্ভিস কমিশন, আদালতে দাবি কল্যাণময়ের। তাঁর আরও দাবি, 'আমি কোনও পরীক্ষা নিইনি, ইন্টারভিউ নিইনি, নিয়োগপত্র দিইনি।'
এদিন আদালত থেকে পার্থকে বের করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার মুখে পার্থকে উদ্দেশ্য ফের চোর চোর স্লোগান শোনা যায় এদিন। এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) হেফাজত হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। তারপর তাকে আদালত থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময়েই তাঁকে দেখে উপস্থিত কয়েকজন সাধারণ মানুষ 'চোর চোর' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। যতক্ষণ পার্থকে দেখা গিয়েছে ততক্ষণই অনবরত 'চোর চোর' স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন সাধারণ নাগরিকরা। একবার স্বাস্থ্য় পরীক্ষার জন্য ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে। সেখানেও পার্থকে দেখে বিক্ষোভ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'এখনই অন্তর্বর্তী নির্দেশ নয়', অভিষেকের শ্যালিকার মামলায় কী জানাল হাইকোর্ট ?