SSC Scam: কারা স্কুলে যেতে পারবেন না, সেই তালিকা কেন প্রকাশ করছে না SSC ? বড় প্রশ্ন চাকরিহারা শিক্ষকদের
SSC Scam Job loser Teachers Questioned : কারা বেতন পাবেন, সে তালিকা ডিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কারা স্কুলে যেতে পারবেন না, কেন স্পষ্ট করা হচ্ছে না ? উঠেছে প্রশ্ন

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, ও রুমা পাল, কলকাতা: এখনও আন্দোলনে অনড় SSC-র চাকরিহারা শিক্ষকরা। যোগ্য়-অযোগ্য় তালিকা প্রকাশের দাবিতে এখনও অনড় আন্দোলনকারীরা। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ না করলেও, আদালতের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারা স্কুলে যেতে পারবেন, কারা বেতন পাবেন, সে তালিকা ইতিমধ্যে ডিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে। স্কুলগুলির কাছেও পৌঁছে গেছে নির্দেশ। কিন্তু কারা স্কুলে যেতে পারবেন না, সেই তালিকা কেন প্রকাশ করছে না এসএসসি? কেন স্পষ্ট করা হচ্ছে না কারা দাগি? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারা শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকদের একাংশ।
চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একটাই দাবি, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। এই দাবিতে টানা তিন দিন ধরে ঠায় এসএসসি অফিসের সামনে বসে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও কোনও তালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারা স্কুলে যেতে পারবেন, কারা বেতন পাবেন, সে তালিকা ইতিমধ্যে ডিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে। স্কুলগুলির কাছেও পৌঁছে গেছে নির্দেশ।
কিন্তু কারা সকুলে যেতে পারবেন না, সেই তালিকা কেন প্রকাশ করছে না SSC? কেন স্পষ্ট করা হচ্ছে না কারা দাগি? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারা আন্দোলনরত শিক্ষকরা। আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, তালিকা দিল না কেন, অযোগ্য কারা তো জানতে পারতাম। যে তালিকা DI অফিসে পাঠানো হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেছেন, আমার নাম কোনও জায়গায় যায়নি...।এসএসসির কাছে যদি ওএমআর-এর মিরর ইমেজ নাই থাকে, তাহলে কীসের ভিত্তিতে ঠিক করা হল ৩১ ডিসেম্বর অবধি কারা স্কুলে যেতে পারবেন? প্রশ্ন তুলছেন।
অন্য়দিকে, SSC-সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলা ঝুলে রইল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যখন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর কিছু পরিবর্তন করেছে, তখন কি আদালত অবমাননার মামলা এই আদালতে হতে পারে? পাশাপাশি সকুল শিক্ষা দফতরের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন করেন--- আপনাদের কাজ চিহ্নিত অযোগ্যদের থেকে বেতনের টাকা ফেরত নেওয়া। সেটার ক্ষেত্রে আপনারা কি করেছেন জানান।
উত্তরে স্কুল শিক্ষা দফতরের আইনজীবী বলেন--- সেবিষয়ে আমার কাছে কোনও নির্দেশ নেই।বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, তার মানে, গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত না নেওয়া পর্যন্ত আপনারা বেতন ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আদালতকে জানাবেন না। তাই তো?আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।এরই মধ্যে নিয়োগের দাবিতে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা ...যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।






















