(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Partha Chatterjee : মুখভর্তি দাড়ি, থমথমে চোখমুখ, বিধ্বস্ত পার্থ-র মেডিক্যাল টেস্ট, উঠল চোর চোর স্লোগান
Arpita Mukherjee : ইডি চার্জশিটে উল্লেখ, উল্লেখ, বছর ৩৬’এর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১টি LIC’র পলিসির নমিনি ছিলেন সত্তোরর্ধ্ব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, আবির দত্ত, কলকাতা : স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ED’র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর, এখন CBI’এর হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বুধবার ফের তাঁকে আদালতে তোলা হবে। এদিন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একগাল দাড়ি, থমথমে চোখমুখে কার্যত বিধ্বস্ত দেখিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। এদিকে, হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে চোর চোর বিদ্রুপ করেন সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন SFI ও DYFI’এর সমর্থকরা।
বিস্ফোরক দাবি ইডির
ED’র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) জেরায় জানিয়েছেন তাঁর টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অর্পিতা আরও দাবি করেছেন, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া গয়নাগুলিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শারীরিক পরীক্ষার সময় ESI হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে একটি কথাও বলেননি তিনি।
জীবন বিমার বার্ষিক প্রিমিয়াম দেড় কোটি টাকা!
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জীবন বিমার প্রিমিয়াম বাবদ দিতে হত বছরে দেড় কোটি টাকা। আর এই প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ED’র চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। জেরায় অর্পিতা কী কী দাবি করেছেন, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। যেখানে উল্লেখ, বছর ৩৬’এর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১টি LIC’র পলিসির নমিনি ছিলেন সত্তোরর্ধ্ব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আদালতে একাধিক আর্জি
আদালতে এর আগে একাধিক আর্জি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, এমবিএ, ডক্টরেট, পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত। ৮টি ওষুধ খাই, আমি খুব অসুস্থ, জামিন দেওয়া হোক।’ আগেও শুনানির মাঝে কার্যত কান্নায় ভেসে তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, 'আমাকে বাঁচতে দিন, আমাকে জামিন দিন।'
তিন মাথাকে জেরা
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও SSC’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে দফায় দফায় জেরা সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর, টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালী যোগের সন্ধান পেতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করলেও, তথ্যপ্রমাণ বলছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি যোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করছেন। দুর্নীতির দায় এড়িয়েছেন কল্যাণময়ও।
আরও পড়ুন- কীভাবে পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সারমেয়দের জন্য ফ্ল্যাটের খোঁজ ? কী জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়