DA Case : ডিএ মামলায় নতুন মোড়, কী পদক্ষেপ রাজ্যের ?
Calcutta High Court : ২০ মে মহার্ঘভাতা মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় নতুন মোড় । ডিএ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ফের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। ২০ মে মহার্ঘভাতা মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। তখন বলা হয়েছিল, ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ নির্ধারণ করে দিতে হবে কর্মচারীদের।
DA বৈষম্যর বিরুদ্ধে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিল কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ-সহ সরকারি কর্মীদের দু’টি সংগঠন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি-তে স্যাট রায় দেয়, DA দয়ার দান। তা দেওয়া বা না দেওয়া রাজ্য সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে!
আরও পড়ুন ; পার্থ-র গ্রেফতারি পর্বে DA-র দাবিকে হাতিয়ার করে সরব সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি
২০১৭-র ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫% DA ঘোষণা-
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ওই বছর ৩০ মার্চ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকারি কর্মী সংগঠন। ২০১৭-র ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫% DA ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এরইসঙ্গে তাঁর করা একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘেউ ঘেউ করে লাভ হবে না, আমি যতটা দিতে পারি সেটা আমাকে বলতে হয় না !
পরে DA মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে মন্তব্য করেন, এই ধরনের শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা দুর্ভাগ্যজনক। এরপর DA মামলায়, ২০১৮ সালের ৩১ অগাস্ট হাইকোর্ট রায় দেয়, মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের অধিকার। কীভাবে তা দেওয়া হবে, ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করুক SAT।
এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে DA নিয়ে ফের কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের তিনি বলেন, ' কাজকর্ম নেই, রাস্তায় বসছেন কেউ কেউ, বলছেন টাকা দাও' । মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক ৫ দিনের মাথায়, ২০১৯-এর ২৬ জুলাই SAT’র তৎকালীন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ ও সুরেশ কুমার দাস নির্দেশ দেন, ১ বছরের মধ্যে সরকারি কর্মীদের DA মেটাতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা না দেওয়ায় সরকারি কর্মী সংগঠন আদালত অবমাননার মামলা করে ফের SAT’র দ্বারস্থ হয়। ২০১৯-এর অক্টোবরে SAT’এ রিভিউ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার। ২০২০-র ৮ জুলাই রাজ্য সরকারের পিটিশন খারিজ করে SAT। তার পর রাজ্য সরকার আবেদন জানায় হাইকোর্টে। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মে মাসে নির্দেশ দেয়, স্যাটের নিয়ম মেনে বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে হবে।
DA মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় জয় পান রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা! পুজোর আগেই যেন উৎসবের মেজাজ শুরু যায় তখন।